গাজীপুরে রবিবার নানার বাড়ি গোসল করতে গিয়ে নার্সারী শ্রেণীর এক শিশু খুন হয়েছে। দুর্বৃত্তরা ওই শিশুকে ধর্ষণের পর ইট দিয়ে মাথা থেতলে মগজ বের করে হত্যা করেছে বলে পুলিশের ধারণা। নিহত ওই শিশুর লাশ রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ বাড়ির পাশের কাশবন থেকে উদ্ধার করেছে। নিহতের নাম তাফান্নুম তাহি (৫)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের শরীফপুর সোন্ডা এলাকার হুমায়ুন কবিরের মেয়ে। তাফান্নুম স্থানীয় মাতৃছায়া কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের নার্সারী শ্রেণীর ছাত্রী।

জিএমপি’র গাছা থানার এসআই মো. কবির উদ্দিন ও স্থানীয়রা জানান, বরিশালের হুমায়ুন কবির দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের শরীফপুর সোন্ডা এলাকার নিজ বাসায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। হুমায়ুন স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় এবং তার স্ত্রী মাতৃছায়া কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে শিক্ষক পদে চাকুরি করেন। তাদের দু’মেয়ের মধ্যে তাফান্নুম তাহি ছোট। রবিবার বেলা ১১টার দিকে গোসলখানায় শাওয়ারের পানিতে গোসল করার জন্য পার্শ্ববর্তী নানা আমির হোসেনের বাড়ির উদ্দেশ্যে তাফান্নুম তাহি ঘর থেকে বের হয়। দুপুর পর্যন্ত সে বাসায় ফিরে না আসায় স্বজনরা তার সন্ধানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিকেলে তারা বাড়ির অদূরে একটি জমির কাঁশবনে তাফান্নুমের লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ইট দিয়ে মাথা থেতলে শিশুটির মাথার মগজ বের করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে কৌশলে ওই কাঁশবনে নিয়ে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্ত কোন ব্যক্তি। পরে বিষয়টি জানাজানির ভয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইট দিয়ে মাথা থেতলে শিশুটিকে ঘটনাস্থলে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সে। ইট দিয়ে থেতলানোর কারণে শিশুটির মাথার মগজ বেরিয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় মধ্য রাত পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয় নি।