ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) বিভাজনে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংস্থাটির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। রবিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে আধুনিক নাগরিক সেবা ও করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে উদ্দেশ করে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় মেয়র মন্ত্রীর কাছে বেশকিছু দাবিও তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তৃতায় ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, নাগরিকের আধুনিক সুবিধা নিশ্চিতে নগর সরকারের বিকল্প নেই। এই সংস্থার মাধ্যমে নাগরিক সেবা নিশ্চিতে সমন্বিত কাজ করতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন নগর সরকারের। আমি মন্ত্রীর কাছে এ দাবিটি পুনরায় জানাচ্ছি।তিনি বলেন, আমরা নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চলছি। আমরা ইতিবাচক পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি। চার বছর আগের ঢাকা ও আজকের ঢাকার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা কাটিয়ে জনগণকে সচেতন করে এই দুইয়ের সমন্বয়ে বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।সাঈদ খোকন বলেন, ২০১১ সালে ঢাকাকে বিভাজন করা হয়। বিভাজনে ঢাকা দক্ষিণ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হয়তো ভূমি জরিপ বা এলাকাগত বিষয়ের কারণে এই ক্ষতি হয়। বিভাজনের পর রাজস্ব আয়ের ৪০ ভাগ পায় ডিএসসিসি ও ৬০ ভাগ পায় ডিএনসিসি। অপরদিকে রাজস্ব ব্যয়ের ৬০ ভাগ খরচ হয় ডিএসসিসির আর ৪০ ভাগ খরচ হয় ডিএনসিসির। এটা বড় বৈষম্য।

মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘আট বছর আগে জনবল কাঠামো অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু আজও তা অনুমোদন হয়নি, এটা দুঃখজনক। বর্তমানে আমাদের মাত্র ৪০ শতাংশ জনবল রয়েছে যা দিয়ে কোনোভাবেই নাগরিকদের শতভাগ সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। যেকোনও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে একটি প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকবে এটা হতে পারে না। তাই মন্ত্রীকে বলতে চাই, আমাদের প্রয়োজনীয় জনবল দিন।ডিএসসিসির রাজস্ব আয় বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ৩০ বছর ধরে ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট বন্ধ রয়েছে। নির্বাচনের আগে আমরা ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনের কারণে তা বন্ধ করতে হয়েছিল। আমাদের এ সেবা সংস্থাটিকে স্বাবলম্বী করতে ওই প্রজ্ঞাপনটি উঠিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলরদের বিভিন্ন দাবি রয়েছে বলে মন্ত্রীকে জানান মেয়র সাঈদ খোকন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ঢাকা ওয়সার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাসকিন এ খান, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, রফিক আজম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, সচিব শাহাবুদ্দিন খান প্রমুখ।