অবিলম্বে নিরাপদ খাদ্য ফাউন্ডেশন গঠনের জন্য সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সেইফ অ্যাগ্রো ফুড অ্যাফোর্টস (বিএসএএফই)। শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে বিসেফ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সংস্থাটি এ সুপারিশ জানায়।আইন অনুযায়ী নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, আমদানী, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ, বিক্রয় ও নিরাপদ খাদ্য সহায়ক অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বিসেফ ফাউন্ডেশন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করেছেন।

আলোচনা সভায় উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো হচ্ছে: আইন বিধি প্রয়োগের লক্ষ্যে কোডেক্স এর আলোকে বাংলাদেশ মানদ- চূড়ান্ত করা, কমিউনিটি সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা, মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা সহজলভ্য করা, হাট ও বাজারভিত্তিক কমিটি গঠন করে নিরাপদ খাদ্য বিপণন তদারকি ও হটলাইন সেবা প্রদান করার প্রস্তাব রাখা হয়।

এছাড়াও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে উপযুক্ত গবেষণা কার্যক্রম জোরদার, খাদ্য উৎপাদনে অনিয়ন্ত্রিত ও ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহারের ক্ষতি বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি, খাদ্য উৎপাদনে নিরাপদ বিকল্প প্রযুক্তি সহজলভ্য করা, উৎপাদিত খাদ্যের বিবরণ, ব্যবহৃত উপাদান, খাদ্যের পুষ্টিমান, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি লেবেলিং নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংস্থাটি।

নিরাপদ খাদ্য গবেষণা ও সম্প্রসারণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে বিশেষ তহবিল গঠন এবং নিরাপদ খাদ্য ফাউন্ডেশন, নিরাপদ খাদ্যে সহজলভ্য এবং স্বল্প সুদে ঋণ পাবার নিশ্চয়তা বৃদ্ধি করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।

এর পাশাপাশি নিরাপদ সহায়ক অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য দেশের সকল বাজারের ভৌত পরিবেশ ও অবকাঠামো উন্নয়ন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বান্ধব বাজারে তৈরিতে সহায়তা প্রদান, নৌপথ, রেলপথ সকল ক্ষেত্রে বিশেষায়িত ও অগ্রাধিকারমূলক পরিবহন ব্যবস্থাপনা তৈরি, স্বাস্থ্যসম্মত বিক্রয় যান ও কেন্দ্র তৈরির জন্য আর্থিক সহায়তার সুপারিশও জানায় সংস্থাটি।বিসেফ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মিটন এর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসেফ ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ড. সৈয়দ মনোয়ার হোসেন, টি আই এম জাহিদ হোসেন, নির্বাহী সদস্য মহিদুল হক খান, অধ্যাপক মনির হোসেন, আনোয়ার ফারুক এবং সদস্য ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ সহ অন্যান্যরা।

উল্লেখ্য, সুস্থ সবল জাতি চাই, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত হচ্ছে। প্রতিবছর শুধুমাত্র বাংলাদেশই এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।