হাসপাতালে ডাক্তারের অনুপস্থিতিকে দুর্নীতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে ডাক্তারের উপস্থিতি বাড়াতে মনিটরিং সেল গঠন করেছে সরকার। যাদের বিরুদ্ধে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পর্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি বিশাল মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের অনেক অর্জন আছে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে, গড় আয়ু বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেসব পুরস্কার পেয়েছেন তার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্জনের জন্য বেশি পুরস্কার পেয়েছেন। কাজ করতে গেলে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি হতেই পারে। কাজের কারণেই এতোগুলো অর্জন হয়েছে।

তিনি বলেন, দুদক বিভিন্ন হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়েছিলো। হাসপাতালে চিকিৎসকের অনুপস্থিতি করাপশন (দুর্নীতি) হিসেবে দেখা হচ্ছে।দুদকের পরিচালক কিছু সুপারিশ দিয়েছেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু নীতিমালা আছে, আমরা নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করি। তদন্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রতিটি উপজেলায় ৬ জন করে ডাক্তার থাকতে হবে, এটা আমরা বলে দিয়েছি। ডাক্তারদের উপস্থিতি বাড়াতে একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছি। বিভাগীয় ও উপজেলা পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। এই মনিটরিং সেল যদি সুন্দরভাবে কাজ করতে পারে তবে উপস্থিতি নিশ্চিত হবে। যাদের বিরুদ্ধে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ শাহে আলমের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রত্যেক ১০ হাজার মানুষের জন্য ১২ জন ডাক্তার প্রয়োজন কিন্তু আমাদের দেশে আছে ৪ জন। আমরা ডাক্তারের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আরো ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নিয়োগ গেলে ডাক্তারের স্বল্পতা কমে যাবে।