টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি লাভের আশায় মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে অশ্রুসিক্ত নয়নে দুই হাত তুলে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের আমিন, আল্লাহুমা আমিন, ছুম্মা আমিন ধ্বনিতে মুখরিত আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের ৫৪তম বিশ্ব এজতেমা মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। মোনাজাতে লাখ লাখ মুসল্লি নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং কেঁদে বুক ভাসান। মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কামনা করা হয়। মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি, ইহলৌকিক ও পরলৌকিক মুক্তি এবং দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার তৌফিক কামনা করা হয়। আগামী বছর (২০২০ সাল) ৩, ৪ ও ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে মাওলানা সা’দ পন্থীদের বিশ^ এজতেমা। বিশ্ব এজতেমার মূল নজমের জামাতের সদস্য মো. হারুন-অর-রশিদ প্রাথমিক ভাবে সম্ভাব্য ওই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এবারের বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্যায়ে বিশ্ব তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি দিল্লীর হজরত মাওলানা সা’দ আহমেদের অনুসারীদের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এজতেমায় আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন সা’দ অনুসারী দিল্লির মাওলানা শামীম। প্রায় ১৭ মিনিট স্থায়ী এ মোনাজাত মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হয় এবং তা চলে ১২টা ০২ মিনিট পর্যন্ত। তাৎপর্যপূর্ণ এই আখেরি মোনাজাতে জীবনের সব পাপ-তাপ থেকে মুক্তি, আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করা হয়। এসময় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে ফরিয়াদ জানান লাখ লাখ মুসুল্লি। আল্লাহর দরবারে আকুতি মিনতি করে চোঁখের পানিতে বুক ভাসান ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা। আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন ধ্বনিতে মধ্যাহ্নের আকাশ-বাতাস মুখরিত করে মহান ও দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় লাখ লাখ মুসুল্লি আকুতি জানান।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আখেরী মোনাজাতে শরীক হতে সূর্য উদোয়ের পুর্ব থেকেই শুরু হয় এজতেমা মুখী ধনী-দরিদ্র, যুবক-বৃদ্ধ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষের ঢল। যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটে মুসল্লিরা ধাবিত হয় এজতেমা ময়দানে। আখেরী মোনাজাতের আগেই ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। অগণিত মুসুল্লি এজতেমা এলাকার বিভিন্ন সড়ক, অলি-গলি, মিল কারখানা ও বাসা-বাড়ির ছাদে এবং নৌকাসহ বিভিন্ন যানবাহনে বসে মোনাজাতে অংশ নেন। অনেকেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোনাজাতে শরিক হন। এতে পুরো এলাকায় এক ধর্মীয় আবহ বিরাজ করছিল।

এদিকে সোমবার আখেরী মোনাজাতর পূর্বে এজতেমা ময়দানের মিডিয়া সেন্টারে স্থানীয় সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সাংবাদিকদের জানান, আগামী বিশ্ব এজতেমা দু’পক্ষকে নিয়ে একসঙ্গে একটানা অনুষ্ঠানের চেষ্টা চালানো হবে। দু’পক্ষ আন্তরিক হলে সব কিছুই সম্ভব। তিনি এবারের বিশ্ব এজতেমা সুষ্ঠু ভাবে সফল হওয়ায় তিনি জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারী-বেসরকারি সকল সেবা সংস্থার প্রতি ধন্যবাদ জানান।

সা’দ পন্থীদের ২০২০সালের বিশ্ব এজতেমা ॥
মাওলানা সা’দ পন্থীদের আয়োজনে টঙ্গীর এজতেমা ময়দানে আগামী বছরের (২০২০ সালের) ৩, ৪ ও ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব এজতেমা। বিশ্ব এজতেমার মূল নজমের জামাতের সদস্য মো. হারুন-অর-রশিদ প্রাথমিক ভাবে সম্ভাব্য ওই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও চলতি বছরের ২২ হতে ২৬ নবেম্বর পর্যন্ত ৫দিন ব্যাপী মাওলানা সা’দ অনুসারীদের জোড় এজতেমা অনুষ্ঠিত হবে টঙ্গীর বিশ্ব এজতেমা ময়দানে।

আর ১৬ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের পর শনিবার মাইকে জোবায়ের পন্থীরা ২০২০সালের ইজতেমার তারিখ ঘোষনা করেন। সে অনুযায়ি তাদের আগামি বিশ্বইজতেমার প্রথম দফা ২০২০ সালের ১০,১১ ও ১২ জানুয়ারী এবং ২য় দফা অনুষ্ঠিত হবে ১৭,১৮ ও ১৯ জানুয়ারী। আর তাদের পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা অনষ্ঠিত হবে ২০১৯সালের ২৯ ও ৩০ নভেম্বর এবং ১,২ ও ৩ ডিসেম্বর।

এদিকে, তাবলীগ জামাতের অপর পক্ষ মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা তাদের বিশ্ব এজতেমার তারিখ আগামী বছরের (২০২০ সালের) ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি প্রথম দফা এবং ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা টঙ্গীর এজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত বলে ঘোষণা দেন। এছাড়াও তাদের ৫ দিনের জোড় এজতেমা চলতি বছরের (২০১৯ সাল) ২৯ ও ৩০ নবেম্বর এবং ১,২ ও ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ ঘোষণা দেন। এবারের বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্যায়ে বিশ্ব তাবলীগ জামাতের মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এজতেমার আখেরী মোনাজাত শেষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) জোবায়ের পন্থীরা এ ঘোষণা দেন।

শেষ দিনে বয়ানকারী ॥
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর উর্দুতে বয়ান করেন দিল্লির হাফেজ ইকবাল নায়ার। পরে বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মুফতি ওসামা বিন ওয়াসিফ।

এরপর সকাল ১০টার দিকে শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান। তাবলিগের গুরুত্ব তুলে ধরে আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত উর্দু ভাষায় হেদায়েতি (দাওয়াতি কাজের পদ্ধতি) বয়ান করেন দিল্লির মাওলানা শামীম এবং বাংলায় তা তরজমা করেন মাওলানা আশরাফ আলী। পরে দিল্লির মাওলানা শামীম হেদায়েতির কিছু কথা বলে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন। এবারের বিশ্ব এজতেমায় বিভিন্ন দেশ ছাড়াও ভারতের নিজামউদ্দিন মারকাজের শীর্ষ মুরুব্বী তাবলীগ জামাতের বিশ্ব আমির সা’দ কান্ধলভীর পক্ষে নেতৃত্ব দিতে টঙ্গী ৩২ সদস্যের একটি দল টঙ্গীর এজতেমায় যোগ দেন। এতে জিম্মাদারের নেতৃত্ব দেন দিল্লীর মাওলানা শামীম।

হেদায়তী বয়ানে যা বলেন ॥
হেদায়তী বয়ানে মাওলানা শামীম মুসুল্লীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আল্লাহর জন্য দৈনিক ৪ঘন্টা সময় ব্যয় করতে হবে এবং মসজিদে কমপক্ষে ২০জনকে দ্বীনের দাওয়া দিতে হবে। পরামর্শ করে কাজ করলে তা সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়। সকল কাজই পরামর্শ করে করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মসজিদে পরামর্শ করে দীনের দাওয়াত দিতে হবে। পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করলে আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়।

আখেরী মোনাজাতে মহিলাদের অংশগ্রহণ ॥
তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত ৫৪তম বিশ্ব এজতেমায় আখেরী মোনাজাতে শতশত মহিলা মুসুল্লি অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শতশত মহিলা মুসুল্লি এজতেমা ময়দানের আশপাশে, কল-কারখানা ও বাসা-বাড়ির ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে আখেরী মোনাজাতে অংশ নেন।

বিদেশি মেহমান
মাওলানা সা’দ পন্থী মাওলানা মো. আশরাফ আলী জানান, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, কাতার, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন,অস্ট্রেলিয়া,আমেরিকা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও চীনসহ প্রায় ৩৬টি ভিনদেশের তাবলীগ জামাতের সহস্্রাধিক বিদেশি মেহমান এবারের এজতেমায় অংশগ্রহণ করেন।

মোনাজাত শেষে যানজট ॥ মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়া মানুষ একযোগে নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরার চেষ্টা করেন। এতে টঙ্গীর আশে-পাশের সড়ক-মহাসড়ক গুলোতে সৃষ্টি হয় জনজট ও যানজট। ফলে আবারো পায়ে হেটে রওনা দেয় মুসুল্লীরা। আর পাঁয়ে হাঁটা মুসুল্লীদের চাপে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসুল্লীদের যানবাহনের কারণে এদিন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এজতেমা মাঠের আশে-পাশের এলাকায় যানজট থাকে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

প্রসঙ্গতঃ গত শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হতে নজীর বিহীন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে টঙ্গীতে টানা চারদিন ব্যাপী তাবলীগ জামাতের এবারের ৫৪তম বিশ্ব এজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়। ওই চারদিনের মধ্যে তাবলীগ জামাতের মাওলানা জোবায়ের ও মাওলানা সাদ অনুসারীদের পৃথক ব্যবস্থাপনায় দু’দিন করে আয়োজিত এ বিশ্বএজতেমা অনুষ্ঠাণের কথা ছিল। দু’পক্ষের ব্যবস্থাপনায় এবারের এজতেমায় দু’টি আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের প্রথম পর্যায়ের এজতেমা নির্ধারিত সময় শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়। এরপর রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মাওলানা সাদ অনুসারীদের দ্বিতীয় পর্যায়ের এজতেমা শুরু হয়। কিন্তু এজতেমা কার্যক্রম শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই সকালে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হলে এজতেমার কার্যক্রমে বিঘœ ঘটে। ফলে বৈরী আবহাওয়া ও প্রথম পর্যায়ের পর স্বল্প সময়ে দ্বিতীয় পর্যায় শুরুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে না পারায় এ পর্যায়ে একদিন সময় বাড়ানোর আবেদন জানান মাওলানা সা’দ অনুসারী মুরুব্বীরা। এরপ্রেক্ষিতে ধর্ম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্বিতীয় পর্যায়ের আখেরী মোনাজাত পূর্ব নির্ধারিত সোমবারের পরিবর্তে একদিন পিছিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠাণের জন্য নির্ধারণ করা হয়। পূনঃনির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ (মঙ্গলবার) এবারের দ্বিতীয় পর্যায়ের আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের ৫৪ বিশ্ব এজতেমার সকল কার্যক্রম শেষ হয় বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

এজতেমার ইতিহাস ॥ এজতেমার আয়োজকসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ১৯১০সালে ভারতের মাওলানা ইলিয়াস (রাঃ) তাবলীগ জামাতের প্রচলন শুরু করেন মাওয়াত এলাকা থেকে। একটানা ১৯৪৪সাল পর্যন্ত তিনি এই তাবলীগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ১৯৪৬সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে এজতেমার আয়োজন শুরু করা হয়। তারপর ১৯৪৮সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে ও ১৯৫৮সালে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬সালে টঙ্গীর পাগাড়ে প্রথম বিশ্ব এজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৬৭সালে এজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসুল্লীদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় এজতেমা অনুষ্ঠিত হয় টঙ্গীর কহরদরিয়া বা তুরাগনদীর পূর্ব তীরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে। ১৯৬৭ সাল থেকে দীর্ঘ ৫২ বছর যাবৎ বিশ্ব এজতেমা একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। পরে সরকারি ভাবে তুরাগ তীরের ১৬০একর জমি স্থায়ীভাবে এজতেমার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তীতে তুরাগনদীর পূর্ব তীরে টঙ্গীর ওইস্থানে মুসুল্লীদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় এবং দূর্ভোগ লাঘবের লক্ষে ২০১১ইং সাল থেকে দুই পর্বের এজতেমা শুরু হয়। কিন্তু মুসল্লীদের অংশ গ্রহন বেড়ে যাওয়ায় এতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই আবারও পরিবর্তন এনে প্রথমবারের মতো গতবছর হতে (২০১৬ইং) চার ভাগে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব এজতেমা। দেশের মোট ৩২টি জেলা নিয়ে গতবছর (২০১৬ইং) এজতেমার দুই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তী বছরে অর্থাৎ এবার ২০১৭ সালে বাকী ৩২ জেলার মুসল্লীদের নিয়ে দু’পর্বে বিশ্ব এজতেমার অনুষ্ঠিত হয়। এক বছর পর পর ৩২ জেলার মুসল্লীরা এজতেমায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। যারা যে বছর বিশ^ এজতেমায় অংশ নিতে পারবেন না তারা ওই বছর যার যার জেলায় আঞ্চলিক এজতেমায় অংশ নেবেন। ২০১৫ সাল থেকে এ আঞ্চলিক এজতেমা শুরু হয়েছে। একইভাবে ২০১৮ সালের এজতেমাও জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তাবলীগের দু’পক্ষের মত বিরোধের কারণে গত বছরের শেষ দিকে (ডিসেম্বর মাসে) দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ৫৪ তম বিশ্ব এজতেমা। একপর্যায়ে প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে স্থানীয় সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল তাবলীগের বিবাদমান উভয় পক্ষের মুরুব্বীদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে ১০ শর্তের ভিত্তিতে দু’পক্ষের ব্যবস্থাপনায় এবারের ৫৪তম বিশ্ব এজতেমা অনিুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে একই বছর দুইবার বিশ্ব এজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।