অবিশ্বাস্য হলে এই প্রথম ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে পদ্মার ১”টি চিতল । ২৫কেজি ৯০০গ্রামওজনের এ চিলত টি বিক্রি হয়েছে মাওয়া পদ্মাপাড়ে ¯¦পন (মৎস্য পাইকারী) আড়তে। আজ শনিবার ভোরে মাছটি সুরেশ্বর নামক এলাকার পদ্মা থেকে এক জেলে বড় ভিন্ন সাইজের এ মাছ মৎস্য আড়তে আনেন।

এ সময় মাছ ’টি তিনি ডাকে বিক্রি করেন ৩৫হাজার টাকায়।মাওয়া এলাকার পাইকারী বিক্রেতা ¯¦পন নামের এক ব্যবসায়ির কাছে। সে ২৫কেজি ৯০০গ্রাম ওজনের চিতল টি ১হাজার টাকা লাভে (৩৬ ”হাজার) টাকা দামে , ঢাকার এক ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রিকরে দুর্লভ বড় আকারের মাছ হওয়ায় মাছের দাম এরকম হওয়ার একটাই কারণ বলে জানা গেছে। একইসাথে রাজধানী থেকে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা মোবাইল ফোনে মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বড় সাইজের মাছের জন্য হণ্যে হয়ে খুঁজছেন। ফলে চাহিদা ও শখের কারণে দামও বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। বিভিন্ন আয়োজনকে কেন্দ্র করেই মাছ প্রিয় মানুষ গুলো কেনার আশায় দূর -দুরান্ত থেকে অনেকেই ছুটছেন বহুআলোচিত পদ্মাসেতু এলাকার মাওয়ার পদ্মাপাড়ে।এসব কিছুকে কেন্দ্র করেই পদ্মার তরতাজা সকল মাছের বাজারে এখন আগুনের উত্তাপ,সোনার দামে মাছ। যাও পাওয়া যাচ্ছে তাও দাম হাঁকা হচ্ছে আকাশচুম্বী।

দুস্কর তরতাজা একটি পদ্মার ইলিশও এখন বিক্রি হচ্ছে ৭হাজার থেকে সাড়ে ৮হাজার টাকায়।রাজধানীর বিভিন্ন পাইকার ,স্থানীয় খুচরা বিক্রেতাদের পাশাপাশি বিত্তবান অনেক ক্রেতা খুব ভোরে মাওয়ায় এসে এসব মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বেশী দাম দিয়ে।তবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এ হারে দাম বাড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।অন্যদিকে রুচিশিল দের চাহিদা মেটাতে বহু সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারাও হন্যে হয়ে পাড়ি দিচ্ছেন মাওয়ার এই মৎস্য আড়তে। মাওয়া নাদিম মৎস্য আড়তের পরিচালক মোঃ জালাল মৃধা জানান , আজ সকালে চাঁদপুর সংলগ্ন নদীর পদ্মার নামা থেকে দেড় কেজির সমান বা বেশী ওজনের একটি ইলিশ তাদের আড়তে আসে।পরে মাছটি ২হাজার টাকায় রাজধানীর এক পাইকার.কিনে নিয়ে যান। এছাড়া গতকাল সোয়া কেজি ওজনের দুটি মাছ দের হাজার টাকায় করে বিক্রি করা হয়েছে ।

১ কেজির কম পরিমাপের বিভিন্ন সাইজের এক হালি ইলিশ প্রকারভেদে ৩ থেকে /৫হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আঃ মজিদ মৎস্য আড়তের মালিক মোঃ মজিদ শেখ জানায়,গত কয়েকদিন থেকে এখানে পদ্মার বড় সাইজের মাছ খুবই সঙ্কট রয়েছে৭/৮কেজি ওজনের পাওয়া যাচ্ছে এভেলেভেল তারচেয়ে বড় পাওয়া যাচ্ছে না।মাত্র দু’দিন আগেও এখানে বোয়াল মাছের পাইকাররা ৮কেজির সামান্য কম ওজনের ১টি বোয়াল ১৭ হাজার টাকায় দিয়ে বিক্রি করা হলেও গত সপ্তাহ থেকে এসব ওজনের এক টি বিক্রি হচ্ছে ২০/২২হাজার।তিনি আরো জানান ,আজ আজ শনিবার ভোরে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর এলাকার নামার পদ্মা থেকে জেলেরা বড় ভিন্ন ভিন্ন সাইজের কয়েকটি ’টি চিতল মাছ তার আড়তে আনে।এ সময় মাছ গুলোতিনি ডাকে বিক্রি করেন ১৫/১৬হাজার টাকায়। সংশ্লিষ্টরা কর্তৃপক্ষরা বলেন ,আজ ঢাকার এক পাইকার ২৫ কেজি ওজনের একটি চিতল মাছ ৩৬ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে যান।