গাজীপুরের শ্রীপুরে তাবলীগের মাওলানা সা’দ অনুসারীদের রবিবার মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা এক মসজিদ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসি জানায়, এবারের বিশ্ব এজতেমা শেষে মাওলানা জোবায়ের অনুসারী দিনাজপুরের বোঁচাগঞ্জ উপজেলার এক চিল্লার একটি জামাত তাবলীগের দাওয়াত নিয়ে টঙ্গীর এজতেমা ময়দান থেকে বের হয়। জামাতটি শনিবার বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলীহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া পশ্চিম পাড়া কাছম আলী জামে মসজিদে এসে অবস্থান নেয়। মসজিদে মাওলানা সা’দ পন্থী তাবলীগের একটি জামাত মসজিদে এসেছে খবর পেয়ে মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা সেখানে গিয়ে তাদের বাঁধা দেয়। একপর্যায়ে রবিবার সকালে ওই মসজিদ থেকে সা’দ অনুসারীদের বের করে দেয় মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। পরে তারা মাওলানা সা’দ অনুসারীরা মসজিদের পার্শ্ববর্তী আবুল কালামের বাড়ির আঙিনায় ত্রিফল টাঙ্গিয়ে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পাশের অপর একটি মসজিদে তাদেরকে সরিয়ে নেন।

মসজিদ কমিটির সভাপতি গোলাম রসুল টিটু জানান, এবিষয়টি এখন তার এখতিয়ারের বাহিরে। এ ব্যাপারে মসজিদ পরিচালনা কমিটির ক্যাশিয়ার নাসির উদ্দিন, মসজিদের ঈমাম আল আমিন, তাইজ উদ্দিন, হাফিজ সহ মসজিদ কমিটি সিদ্ধান্ত নেবেন।

তবে এবিষয়ে স্থানীয় আব্দুস সামাদের ছেলে জোবায়ের অনুসারী নাসির উদ্দিন জানান, যত ঝামেলাই হোক, কোন অবস্থাতেই সা’দ অনুসারী লোকজনকে মসজিদে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তাদের অনুরোধ করা হয়েছে এ মসজিদ ছেড়ে দিয়ে অন্য কোথাও অবস্থান নিতে।

তাবলীগ জামাতের আমির রবিউল ইসলাম জানান, আমরা আল্লাহর রাস্তায় মেহনত করতে এসেছি, গতকাল আমাদের মসজিদ থেকে বের করে দিলে মসজিদের বাইরে ত্রিফল টাঙ্গিয়ে খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করেছি। তবে আল্লাহর রাস্তায় আমাদের চেয়েও কঠিন অবস্থায় ছিলেন আমাদের রাসুল। মহান আল্লাহর কাছ থেকে সিদ্ধান্ত প্রার্থনা করে আজ সবাই রোজা রেখেছি।

এব্যাপারে শ্রীপুর থানার ওসি জাবেদুল ইসলাম জানান, তাবলীগের মতবিরোধ নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় তাদের দু’গ্রুপের মাঝে দ্বন্ধ দেখা দিচ্ছে। ফলে তাবলীগের বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে এক মতাদর্শের অনুসারীরা নিজেদের মসজিদে তাবলীগের অন্য মতাদর্শীদের বাধা দিচ্ছে।