বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারী পলাশ আহমেদ ওরফে মাহাদীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সুমন মুৎসুদ্দী।মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, আমাদের এখানে দুপুর ১২টায় শুরু করে আমরা তার (মাহাদীর) ময়নাতদন্ত শেষ করেছি।ময়নাতদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. সুমন মুৎসুদ্দী বলেন, এ ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনা ছাড়া আমরা কিছু বলি না। এ বিষয়ে বাইন্ডিংস আমাদের আছে, আমরা বলতে পারি না।চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কমান্ডো অভিযানে নিহত বিমান ‘ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী’ মাহাদীর মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন হয়েছে। তার মরদেহের পেটে ও পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে। সিএমপির পতেঙ্গা থানার এস আই সুমন দে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পতেঙ্গা থানার এস আই সুমন দে বলেন, ‘নিহতের পেটে নাভির ওপরে একটি এবং পিঠের দিকেও একটি গুলির ক্ষতচিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, গুলিটি পেট দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বের হয়ে গেছে। তার পরনে একটি কালো ছেঁড়া ট্রাউজার আর ছেঁড়া কালো একটি গেঞ্জি ছিল।সুমন দে আরও জানান, অজ্ঞাত হিসেবে তার লাশ মর্গে রাখা আছে। এখনও কেউ লাশ শনাক্ত করতে আসেননি।প্রসঙ্গত, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৭ ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। বলা হয়, ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরই বিমানটি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ওই ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে। ফ্লাইটে ১৩৪ জন যাত্রী ও ১৪ জন ক্রু ছিলেন। পরে কমান্ডো অভিযানে সন্দেহভাজন বিমান ‘ছিনতাইকারী’ মাহাদী নিহত হয়। বিমানে থাকা যাত্রীরা অভিযানের আগেই নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।