হঠাৎ করেই কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পুরো রাজধানী। ছয় ঋতুর দেশে শীত অতিক্রম করে বসন্ত আসলেও সোমবার (৪ মার্চ) সকাল থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন। আর ঘর থেকে বাইরে এসে অপ্রস্তুত নগরবাসী মুখোমুখি হয়েছেন তীব্র কুয়াশার। পাশাপাশি ছিল হালকা শৈত্য প্রবাহ। দুপুরে সূর্য কিছুটা উঁকি দিলেও ফের রূপ নেয় কুয়াশার।

সোমবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সীতাকুন্ডে ৩০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্র তেঁতুলিয়া ও সাতক্ষীরায় ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববারের (৩ মার্চ) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩১ ডিগ্রি এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকায় সোমবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবদুর জানান, এটা কুয়াশা নয়। মেঘ নিচে নেমে এসেছে। আজকেই (সোমবার) এ অবস্থার উন্নতি হবে। তবে শীতের মৌসুম শেষ হলেও এখনো তার কিছুটা প্রভাব আছে। তাই সকাল থেকে কিছুটা ঠা-া অনুভব হয়।তিনি আরও জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় বিরাজ করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি বা ব্জ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবসা রয়েছে। তবে দিনের তাপমাত্রা থেকে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।

পুর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সাথে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াম হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে রোববার থেকে নদীবন্দরে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হলেও সোমবার দুপুরে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। ঢাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পাশ্ববর্তী এলাকায় আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এছাড়া হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম বা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার যা অস্থায়ীভাবে ঘণ্টায় ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

প্রকৃতির এমন শীতল আবহাওয়ায় কারোরই ভাল লাগে না ঘুম থেকে উঠতে। কিন্তু কর্মজীবী মানুষদের জন্য অপেক্ষা করে থাকে হাজারো ব্যস্ততা। শত কিছুর মাঝেও তাই অফিসের তাগিদে ঘর থেকে বের হতেই হয়।