নিউজিল্যান্ড সফরে ইনজুরির ‘বলয়’ থেকে বেরিয়ে আসতেই পারছে না বাংলাদেশ। সেই ওয়ানডে সিরিজ থেকেই শুরু-প্রায় প্রতি ম্যাচের আগেই ইনজুরি আর প্রেসক্রিপসান যোগাড়ের খবর! জানা গেলো তামিম ইকবালও ভুগছেন চোট সমস্যায়। তবে তার চোটের মাত্রা একটু হালকা। তাই আশা হারাচ্ছেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওয়েলিংটন টেস্টে তামিম ইকবাল খেলবেন সেই প্রত্যাশাই করছেন তিনি। তবে মুশফিক রহিমের সার্ভিস যে ওয়েলিংটন টেস্টেও পাওয়া যাচ্ছে না সেটাও নিশ্চিত করেছেন মাহমুদউল্লাহ।

ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এই দুইজনের ইনজুরির সর্বশেষ প্রসঙ্গে অধিনায়ক জানান- ইনজুরি হয়ে গেলে তো কিছু করার নেই। এটাও খেলারই একটা অংশ। তবে তামিমের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। হালকা চোট আছে তার। অনুশীলনে ব্যাটিং করবে সে। সেখানেই বোঝা যাবে ব্যাট করতে তার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা? তবে আমি আশা করছি ওয়েলিংটন টেস্টে তামিম খেলবে। কিন্তু মুশফিককে আমরা ওয়েলিংটন টেস্টেও পাচ্ছি না। তৃতীয় টেস্টে তার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। ক্রাইষ্টচার্চের সেই টেস্টে তাকে অবশ্যই হয়তো পাবো। তবে মুশফিকও ওয়েলিংটনের অনুশীলন নেটে ব্যাটিং করছে। ওর হাতের ব্যথাটা এখনো আছে।

ওয়েলিংটন টেস্টের একাদশে মুশফিক খেলছেন না। তামিমকে নিয়েও দুর্ভাবনা আছে। তবে এমন সঙ্কটের সময় একটা সুখবরও শোনালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-এই টেস্টে মুস্তাফিজুর রহমান খেলছেন। বেশি পরিশ্রমে মুস্তাফিজ যাতে ক্লান্ত না হয়ে পড়েন সেই চিন্তা ও কৌশলের কারণে তাকে হ্যামিল্টনে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলানো হয়নি। ওয়েলিংটনে বাতাসের সুবিধাটা তার বাড়তি কাজে লাগতে পারে সেই পরিকল্পনায় তাকে এই টেস্টের জন্য ‘জমা’ রাখা হয়।

তবে একাদশে মুস্তাফিজ ফিরলেও বাদ পড়ছেন কে? সেই বিষয়ে নিশ্চিত কোন তথ্য জানাননি মাহমুদউল্লাহ। তাহলে কি চারজন পেসার নিয়েই খেলবে বাংলাদেশ? সেক্ষেত্রে মেহেদি হাসান মিরাজকে দলের বাইরে রাখতে হবে। জেনুইন কোন স্পিনার ছাড়া একাদশ সাজানোর ঝুঁকি কি নেবে বাংলাদেশ? এই বিষয়ে অধিনায়কের উত্তরটা খুবই সংক্ষিপ্ত-মুস্তাফিজ অবশ্যই খেলবেন ওয়েলিংটনে। তবে মুস্তাফিজ একাদশে এলে বাদ যাবে কে- সেটা আমরা টিম ম্যানেজমেন্টের শেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেবো।

প্রায় পুরোদুস্তর অনভিজ্ঞ পেস বোলিং আক্রমণ নিয়ে বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলেছে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এমন অনভিজ্ঞ পেস বোলিং নিয়ে ‘বড়কিছু’ করে দেখানো অনেক কঠিন কাজ। হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের খেলা এক ইনিংসে ৭১৫ রানের বিশাল স্কোর সেই প্রমানই দিচ্ছে!

বাংলাদেশ অধিনায়ক এই প্রসঙ্গেও তার বোলারদের পাশে এসেই দাড়ালেন-ওরা অনভিজ্ঞ এবং পুরো বোলিং আক্রমণটাই নতুন। এখনই যদি তাদের কাছ থেকে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করি তাহলে তাদের জন্য সেটা খুব কঠিন হবে। মানছি যে তারা ভাল বোলার। কিন্তু তাদেরকেও সময় দিতে হবে। ধীরে ধীরে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারলে তারা ভাল পারফরমেন্স করতে পারবে। এই বোলারদের মধ্যে আক্রমণাত্মক একটা ভাব আছে। যেটা আমার কাছে খুবই কার্যকর মনে হয়েছে। মাঠের ক্রিকেটে এমন কিছু আক্রমণাত্মক মনোভাবই আমি চেয়েছিলাম বোলারদের কাছ থেকে। হ্যামিল্টন টেস্টে পেস বোলাররা অনেক ওভার বল করেছে। উইকেট শিকারের জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করেছে। প্রায় সব ধরনের কৌশলই নিয়েছে। বোলারদের কাছ থেকে আরেকটু ধারাবাহিক পারফরমেন্স আশা করছি আমরা।