মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এম.পি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর এর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর ভাষণ ছিল ২৪ বছরের পাকিস্তানি অত্যাচারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির সামগ্রিক নির্দেশনা।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আসন্ন যুদ্ধের সকল প্রস্তুতির উল্লেখ ছিল এই ভাষণে। এই ভাষণে উজ্জীবিত হয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ জীবন বাজি রেখে শত্র“র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে জাতির পিতার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন ।

আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু ভবিষ্যৎ উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, আমি যদি হুকুম দিতে নাও পারি তোমরা সবকিছু বন্ধ করে দিবে।যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। এই ভাষণে শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয় এবং অর্থনৈতিক মুক্তির কথাও উল্লেখ করেছিলেন। কারণ জাতির পিতা উপলব্ধি করেছিলেন, অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া স্বাধীনতা পরিপূর্ণ হয় না।

মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের কিছুকাল পরে কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্য ও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা নিহত হন। তাই তিনি জাতিকে অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত করে যেতে পারেননি। জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরাধিকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন-পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত উন্নত দেশে পরিণত করতে পারলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হবে।

বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, আলহাজ নওশের আলী এবং আওয়ামী সমর্থক জোটের চেয়ারম্যান নিয়াজ মুহাম্মদ খানসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।

আলোচনা সভার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আশু রোগমুক্তির জন্য দোয়া করা হয়।