ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমি নগর পিতা নয় বরং নগর সেবক হতে চাই। এরজন্য প্রয়োজনে কামলা বা যোগাইলের মতো কাজ করব। এর জন্য ‘কামলা’ বা ‘যোগাইল’ এর মতো কাজ করতেও আপত্তি নেই বলে জানান তিনি।  রোববার (১০ মার্চ) ডিএনসিসিতে প্রথম দিনের অফিস শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের এমন ইচ্ছার কথা বলেন আতিকুল ইসলাম।

নতুন মেয়র বলেন, আমার ২০টা মেশিন থেকে আজ ১২ হাজার মেশিন হয়েছে। আমি কাজ করেছি বলেই তো হয়েছে। বসে থাকলে হতো না। এখানেও বসে থাকব না। সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে সব ‘প্রটোকল’ ভেঙে কাজ করবেন বলে অঙ্গীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, যেখানে যেভাবে কাজ করলে আমাদের শহরের ভালো হবে, আমি সেভাবেই কাজ করবো। কোথাও যদি কোনো ফাইল আটকে থাকে প্রয়োজনে আমি প্রটোকল ভেঙে দফতরির (কেরানি) সামনে বসে থাকব।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসিতে নিজের প্রথম দিনের কাজ ও বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা জানান আতিকুল ইসলাম। এগুলোর মধ্যে শহরের প্রতিটি দোকানে একটি করে ময়লার ঝুড়ি এবং দু’টি করে ফুল বা ফল গাছের টব স্থাপনের আহ্বান জানান দোকানদারদের। পাশাপশি ভবন মালিকদের ছাদে অথবা বাসার বারান্দায় বনায়নের আহ্বানও জানান। যারা এ আহ্বানে সাড়া দেবেন তাদের জন্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ‘পুরস্কার’ এবং হোল্ডিং করে মওকুফ করা হবে বলে জানান তিনি।

পাশাপশি আগামী বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে নিরসন দিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে কাজ করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের দিন থেকে পুরো শহরজুড়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুবায়ের সালেহীন সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।