গাজীপুরে চালককে অচেতন করে কাভার্ডভ্যান সহ পোশাক কারখানার ফেব্রিক্স লুটের ঘটনায় চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ছিনতাইকারীদের দেয় তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো গাজীপুর মহনগরীরর কোনাবাড়ি থানার হরিনাচালা পারিজাত এলাকার আ. রহিমের ছেলে বাবুল হোসেন (৪০), ঝালকাঠির নলছিটি থানার হদুয়া এলাকার এনামুল হকের ছেলে আল আমিন (২৫), আল আমিনের বাবা (স্থানীয় মৌজালী খানের ছেলে ) এনামুল হক (৫২) এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার পূর্ব বাসাইল এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে শাহ আলম (৪০)।

বাসন থানার ওসি মুক্তার হোসেন জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীর কভার্ডভ্যানযোগে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ২৫৩ রোল ফেব্রিক্স (ইন্টারলাইনিং ফিউজিং) গাজীপুরের মাওনা এলাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু নির্ধারিত সময়েও ভ্যানটি গন্তব্যে না পৌঁছানোয় ওই ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীর ম্যানেজার মোসলেহ উদ্দিন কায়সার বিভিন্নস্থানে সন্ধান করতে থাকে । এসময় কাভার্ড ভ্যানের চালক উজ্জল হোসেনের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ১লা মার্চ ক্যাভার্ড ভ্যানের চালক মোঃ উজ্জল হোসেন ও ক্যাভার্ড ভ্যানের মালিক মোঃ নাজমুল হাসান কোম্পানীর ম্যানেজার মোসলেহ উদ্দিন কায়সারকে মোবাইল ফোনে জানায় যে, চট্টগ্রাম হতে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে ১লা মার্চ সন্ধ্যা অনুমান ৬টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস এলাকায় পৌছানোর পর ক্যাভার্ডভ্যানের হেলপার পলাশ মন্ডল কাভার্ড ভ্যানচালক মোঃ উজ্জল হোসেনকে সেভেনআপ’র সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করাইয়া অজ্ঞান করার পর রাস্তার পাশে বাসন থানাধীন নাওজোড় নামক স্থানে ফেলে রেখে ক্যাভার্ডভ্যান টি পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ক্যাভার্ড ভ্যানের মালিক গত ৫ মার্চ মামলা করেন। পরে বাসন থানা পুলিশ এর সহায়তার ক্যাভার্ড ভ্যানটি খোঁজাখুজি করে ৭ মার্চ সাড়ে ৭টার দিকে কালিয়াকৈর থানাধীন সফিপুর আনসার ক্যাম্পের ৩নং গেইটে পশ্চিম পাশে রাস্তায় খালিজায়গায় পরিত্যক্ত অবস্থায় খালি ক্যার্ভাডভ্যানটি উদ্ধার করা হয় এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছিনতাইকারী ও মামলার আসামি বাবুল ও এনামুলকে কোনাবাড়ী হতে বাসন থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃতরা জানায় ওই মালামাল ঢাকার কোতয়ালী থানার ইউনুছ ম্যানশন চিত্তরঞ্জন এভিনিউ সদরঘাট এলাকায় রুজী এন্টারপ্রাপইজ’র মালিক আব্দুস সালামের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। পরে বাসন থানা পুলিশ ৯মার্চ আব্দুস সালামের গোডাউনে সামনের বারান্দা ২২৩(দুইশত তেইশ) রোল ইন্টারলাইনিং (ফিউজিং), যার মোট মুল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করেন। রোববার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।