রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন হাইকোর্ট।আদালত বলেছেন, বায়ুদূষণ রোধে নেওয়া পদক্ষেপ আমাদের হতাশ করেছে, আমরা ক্ষুব্ধ। বুধবার বায়ুদূষণ নিয়ে দায়ের করা রিটের শুনানিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানিকালে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া পরে আদালত আদেশে, রাজধানীর বায়ুদূষণের মাত্রা পরিমাপ করে এবং দূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে তা দাখিল করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাদের এই আদেশ পালন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন হাইকোর্ট।এ সময় রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

শুনানিতে আদালত বলেন, মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ যেসব এলাকায় চলছে, সেসব এলাকায় প্রচুর ধূলা-বালি পরিবেশকে দূষিত করছে। আমাদের মেট্রোরেল প্রয়োজন। কিন্তু একইসঙ্গে বায়ুদূষণ রোধ করাও জরুরি। আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে হলে এসব (বায়ুদূষণ) বন্ধ করতেই হবে।

এ বিষয়ে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, দুটি সিটি কপোরেশন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায়ের মহাপরিচালককে যেসব জায়গায় ধূলা-বালির কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে সেসব জায়গায় প্রতিদিন পানি ছিটানোর জন্য বলা হয়েছে। ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়।