গাজীপুরের শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বুধবার বহিরাগত যুবকরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় লাইব্রেরীয়ানসহ কলেজের চার কর্মচারীকেও মারধর করা হয়।

জানা গেছে, বুধবার গাজীপুরের শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে ১০/১২ জন বহিরাগত যুবক মোটরসাইকেলযোগে প্রবেশ করেন। এসময় তারা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নূরুন্নবী আকন্দকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা কৃষি বিজ্ঞান বিভাগের ভেতর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে টেনে বের করে কিল ঘুসি মারে ও লাঞ্ছিত করে। হামলাকারীদের হাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে যুবকরা কলেজের লাইব্রেরীয়ান হামিদুল ইসলাম ও তিনজন অফিস সহায়ককে মারধোর করে। এসময় ক্যাম্পাসে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কলেজের শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা আহতাবস্থায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নূরুন্নবী আকন্দ জানান, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে তাকে (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নূরুন্নবী আকন্দ) কলেজে যেতে বিভিন্ন সময় হুমকি ও বাধা প্রদান করে আসছিলেন পৌর যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম ওয়াসিম ও কলেজের চার শিক্ষকসহ একটি মহল। তার (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে থানায় চারটি সাধারণ ডায়েরী করেন ওই চার শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসব বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন মহলে অবহিত করলে ওই মহলটি ক্ষুব্ধ হয়। এর প্রেক্ষিতে বুধবার বহিরাগত যুবকরা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও লাইব্রেরীয়ান এবং অফিস সহায়ক ৩জনকে মারধর করে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে শ্রীপুর পৌর যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম ওয়াসিম জানান, কলেজের প্রশাসনিক ভবনের লাইব্রেরী কাম অফিস কক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজের একটি ছবি টানানো হয়। বুধবার ওই ছবি দেখতে পেয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নূরুন্নবী আকন্দ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তিনি ওই ছবি নামিয়ে সেখানে সাবেক সাংসদ পুত্রের ছবি টানানোর নির্দেশ দেন। তিনি কয়েক শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীকে গালমন্দ করতে থাকলে অন্যরা প্রতিবাদ জানায়। এসময় প্রতিবাদকারীদের উপর দু’শিক্ষক মারমুখী হয়ে উঠলে সাধারণদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশের সহায়তায় কয়েক যুবক কলেজে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নূরুন্নবী আকন্দকে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেয়। তবে সেখানে হামলা বা মারধোরের কোন ঘটনা ঘটেনি।