প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের চলমান উন্নয়নকাজের কারণে সাধারণ মানুষ যেন ক্ষতির শিকার না হয়।বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রকল্প উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবাই উদ্যোগী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার চাপে গোটা এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

সমুদ্র তীরবর্তী মহেশখালী-মাতারবাড়ী এলাকায় কী ধরনের উন্নয়ন করা যায়, তা নির্ধারণে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী জানান, একসময় মহেশখালী দ্বীপ এলাকার মানুষের আর্থিক কোনো সংস্থানই ছিল না। শুধু লবণ চাষের ওপর নির্ভর করে তাদের জীবন চলত।

সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু এ এলাকার উন্নয়নে অনেক কাজ ও পরিকল্পনা করে গেছেন; কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলো তার ধারাবাহিকতা রাখেনি। তিনি বলেন, তার সরকার এ এলাকার সম্ভাবনা খুঁজে বের করে সেই অনুযায়ী উন্নয়নের পরিকল্পনা নিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহেশখালীতে বিশাল যে চর জেগে উঠেছে, সেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, এনএলজি টার্মিনাল থেকে শুরু করে বিদ্যুতের হাব তৈরি করছি।মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে গোটা কক্সবাজারের সামাজিক ও প্রাকৃতিক সমস্যা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা আলাপ করে যাচ্ছি, একটা চুক্তিও করেছি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকেও বলছি, রোহিঙ্গাদের যেন তাদের নিজের দেশে ফেরত নিয়ে যায়। এর ফলে আমাদের স্থানীয় মানুষরা কষ্ট পাচ্ছে, তাদের চাষ উপযোগী জমি নষ্ট হচ্ছে, বন নষ্ট হচ্ছে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৪০ হাজার ছোট্ট শিশু জন্ম নিয়েছে। এরা ক্যাম্পে কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছে।

মহেশখালী দ্বীপের লবণচাষিসহ প্রান্তিক মানুষ যাতে উন্নয়নের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তারা যাতে উন্নত জীবন পায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।