নীলফামারীর ডিমলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে ভুয়া এনজিও সংগঠন খুলে প্রতারণার অভিযোগে ৩জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। আটককৃতদের রবিবার(২৪শে মার্চ)বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে শনিবার(২৩শে মার্চ)সন্ধ্যায় ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তিস্তা নদীর দুর্গম চর জিঞ্জির পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।আটককৃতরা হলেন-ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝুনাগাছ চাপানী চৌধুরীপাড়ার মৃত, আকবর হোসেন চৌধুরীর পুত্র আব্দুল খালেক চৌধুরী (৩৫), রংপুর জেলা সদরের কোতয়ালী থানার পপুলার-২ ধাপ এলাকার জিন্নাতুল করিম প্রধানের পুত্র সাজ্জাদ হোসেন শুভ(২৫),একই উপজেলার পশ্চিম গুরাতিপাড়ার সফিয়ার রহমানের পুত্র ফরিদ আলী (২৫)।একই ঘটনায় জড়িত লালমনিরহাট হাতিবান্ধার আরো এক প্রতারক পলাতক রয়েছেন।তারা সাময়া ওয়াজেদ পুতুলের একটি প্রিয় সংগঠন পরিচয় উল্লেখ করে বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধীভাতাসহ বিভিন্ন অনুদানের জন্য ৩শ টাকা করে সদস্য ভর্তি ফরম বিক্রি করে আসছিলেন। তিস্তা এলাকার দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষদের পুজি করে ভুয়া এনজিও খুলে প্রতারণা করার সময় এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। এ সময় আটককৃতদের হাতে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে ভুয়া এনজিও সংগঠনের ২০টি ফরম পাওয়া যায়। ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ও ঝুনাগাছ চাপানি এলাকায় শতাধিক হতদরিদ্রদের কাছ থেকে সদস্য করার নামে প্রতারক দলটি টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে ডিমলা থানার এসআই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে ৪১৭/৪২০/৩৪ ধারায় মামলা নং-২১,তারিখ-২৪/৩/২০১৯ইং দায়ের করেন।আটককৃতরা প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশের নিকট এ প্রতারণায় লালমনিরহাট হাতিবান্ধার আরো একজনসহ তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এমনকি সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নামে কোন সংগঠন না থাকায় নতুন সংগঠন তৈরি করেছেন বলে জানান।
টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটককৃতরা ভুয়া এনজিও খুলে এলাকায় প্রতারণা করার জন্য এসেছিলো।এঘটনায় জড়িত অপরজনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে রবিবার বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মহিনুল ইসলাম সুজন,বিশেষ প্রতিনিধি॥