নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রত্যাহার করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদী থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীনকে।

কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মো. তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সকাল ৮টায় কটিয়াদী উপজেলার ৮৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এরই মধ্যে চান্দপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু কেন্দ্রে রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগ ওঠে। নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানানোর পর পথমে ৫টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিতের নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ ও ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়। পরে সকাল ১০টার দিকে সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

এদিকে জেলার কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন কেন্দ্রে গোলযোগের খবর পাওয়া গেছে। জেলা রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরফদার মো. আক্তার জামীল জানান, অনিয়মের অভিযোগে জেলার বাজিতপুর উপজেলায় ৩টি ভোটকেন্দ্র স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এগলো হচ্ছে, রাজ্জাকুন্নেছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গাজীরচর ইউনিয়ন পরিণদ ভোট কেন্দ্র ও পিরিজপুরের জুয়ারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।

এছাড়া ভোটকেন্দ্রে হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও অনিয়মের অভিযোগে ভৈরবে ৩টি কেন্দ্র স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।অপরদিকে কটিয়াদীতে ভোটকেন্দ্র দখল ও ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগে নির্বাচন স্থগিত করার প্রতিবাদে স্থানীয় এমপি নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয়রা। দুপুরে উপজেলা সদরে এমপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল হয়।তাদের অভিযোগ, এমপি নূর মোহাম্মদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকরা অন্তত ১৭টি কেন্দ্র দখল করে আগের রাতে নৌকার মার্কায় সিল মারে।