খালেদা জিয়াকে শিগগিরই কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেওয়া হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশনেত্রীর জীবন নিয়ে এই ছিনিমিনি খেলায় জনগণ ক্ষোভে অগ্নিবর্ণ হয়ে উঠেছে। সীমাহীন অন্যায়ের জবাব জনগণ একদিন দেবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

রিজভী বলেন, মিডনাইট নির্বাচনের ও মহাকারচুপির ভোটে মন্ত্রীরা কালাপাহাড়ি মনোভাব নিয়ে কথা বলেন। তারা উচিত-অনুচিতের ধার ধারেন না। শুধু বিনাশ ও নির্মূলের মন-মানসিকতা এই সরকারের। বিরোধী দলসমূহকে নতজানু করে রাখতেই খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে আটকিয়ে রেখেছে সরকার। কেরানীগঞ্জ কারাগারের নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। সেখানে গ্যাস-পানির এখনও তেমন কোনো সুবন্দোবস্ত নেই। নির্মাণাধীন একটি কারাগারে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে স্থানান্তরের সরকারি চিন্তা-ভাবনা মনুষত্বহীন কাজ।

বাকশাল মানুষের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছিলো— প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তারই কথায় গোটা জাতি আঁতকে উঠেছে। এই বক্তব্য শুধু গণতন্ত্র নয়, নাগরিক স্বাধীনতাকে মৃত্যুর দক্ষিণ বাহু দিয়ে পেঁচিয়ে ফেলার আগাম আভাস। বাকশাল হচ্ছে মত প্রকাশের স্বাধীনতার মৃত্যু পরোয়ানা। বাকশাল মানেই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ছাড়া এদেশে আর কোনো দল থাকবে না। তাদের পোষ্য গণমাধ্যম ছাড়া আর কোনো গণমাধ্যম থাকবে না। তাদের বিরদ্ধে কেউ টু শব্দটি উচ্চারণ করতে পারবে না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে না। এই কারণেই শেখ হাসিনার প্রধান প্রতিপক্ষ এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির মূল কান্ডারী নির্দোষ খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।