ডালডা, ফ্লেভার (মাছের খাবার), হলুদ রঙ দিয়ে তৈরী হচ্ছে ভেজাল ঘি। শুধু বাঘাবাড়ী ঘি নয় একি ছাদের নিচেই ৭-৮টি ব্রান্ডের ঘি তৈরি হচ্ছে। তবে সেখানে স্বনামধন্য বাঘাবাড়ী স্পেশাল ঘির প্রাধান্য বেশি। এসব ভেজাল ঘি’র সাথে আছে বাবুর্চির টোকেন। প্রতি টোকেনের পেছনে লেখা আছে ২০০ টাকা।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার এগারো মাইল এলাকার কবির চেয়ারম্যানের ভাড়া বাড়িতে এমনি একটি ভেজাল ঘি তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৩০০ লিটার ভেজাল ঘি ও ১ হাজার খালি কৌটা জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন।

ওই রাতে দেড় ঘন্টা ব্যাপী পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও রুহুল আমীন বলেন, কবির চেয়ারম্যানের ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৫টি বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের লোগো লাগানো ৩০০ লিটার ভেজাল ঘি, ১ হাজার খালি কৌটা ও ঘি তৈরির উপকরণ জব্দ ও পুড়িয়ে ধ্বংস করি। ভেজাল ঘির মধ্যে খাঁটি বাঘা বাড়ির লোগো লাগানো ঘির পরিমাণই বেশি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানার লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। বিগত ১ মাসে এই নিয়ে ৭টি ভেজাল ঘিয়ের কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে জানান ইউএনও।