লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ৮ম শ্রেণীর রাফি জিহাদ (১৪) নামে এক শিক্ষার্থীকে বেদম মারধরের ঘটনায় ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিনগত রাতে আদিতমারী থানায় মামলাটি দায়ের করেন ওই শিক্ষার্থীর মা ফেন্সী বেগম। এর আগে, বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করে তার সহপাঠীরা।

রাফি উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মহিষাশ্বহর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য একরামুল হক জাদুর ছেলে। সে স্থানীয় মহিষাশ্বহর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৭ মার্চ) বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক নূর মোহাম্মদের ভাগিনা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আজিজুল ইসলামের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় একই ক্লাসের শিক্ষার্থী রাফি জিহাদ। বিষয়টি নিয়ে ওইদিনই আজিজুলের অভিভাবককে নিয়ে বিদ্যালয়ে একতরফা বৈঠক বসিয়ে জিহাদকে ডেকে জোড়াবেত দিয়ে বেদম পেটান বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান।

এতে শিক্ষার্থী রাফি অচেতন হয়ে মেঝেতে পড়ে যায়। এরপর নিজেদের দোষ ঢাকতে সাদা কাগজে রাফির সই নেন সহকারী শিক্ষক নূর মোহাম্মদ। অসুস্থ রাফিকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় সহপাঠীরা আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে আহত রাফির মা বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান ও সহকারী শিক্ষক নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীর মা ফেন্সী বেগম জানান, শিক্ষকদের বেদম বেত্রাঘাতে তার সন্তান (রাফি জিহাদ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও শিক্ষকরা তার খোঁজ নেননি। উল্টো বিভিন্ন দফতরে অনৈতিক যোগাযোগ করে তার সন্তানকে জোরপূর্বক বদলির (টিসি) হুমকি দিচ্ছেন ওই দুই শিক্ষক।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি