রোয়ান্ডা গণহত্যার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১০০ দিন শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ১৯৯৪ সালে ওই গণহত্যায় আনুমানিক ৮ লাখ মানুষকে হত্যা করে হুতু চরমপন্থিরা । খবর বিবিসির।

বীভৎস ওই গণহত্যায় রোয়ান্ডার তৎকালীন জনসংখ্যার এক-দশমাংশের মৃত্যু হয়। নিহতদের বেশিরভাগই ছিল সংখ্যালঘু তুতসিরা। গণহত্যাটির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শোক পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরো দেশ। তৎকালীন সময়ে হুতু চরমপন্থিদের পরাজিত করে গণহত্যা থামানো বিদ্রোহী বাহিনীর নেতা ও রোয়ান্ডার বর্তমান প্রেসিডেন্ট পল কালামে এ উপলক্ষে রাজধানী কিগালিতে অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত করবেন।

রোয়ান্ডার শোক পালনে অংশ নেবেন একাধিক বিদেশি নেতারা। এসব নেতাদের বেশিরভাগই আফ্রিকান।

উল্লেখ্য, গণহত্যার আগে হুতু নেতৃত্বাধীন সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল ফ্রান্স। দেশটির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা গণহত্যা পূর্ববর্তী সময়ে এ বিষয়ক ইঙ্গিত অগ্রাহ্য করেছে ও গণহত্যা পরিচালনাকারী মিলিশিয়াদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। বর্তমান ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন এই বারের শোক পালনে অংশ নেবেন না। তবে তার বদলে রোয়ান্ডায় ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করবে হারভে বারভিলে। তিনি একজন রোয়ান্ডান-বংশোদ্ভত ফরাসি এমপি।

গণহত্যা১৯৯৪ সালের ৬ এপ্রিল তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুভেনাল হাবায়ারিমানাকে বহনকারী একটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। এতে বিমানটির সকল আরোহী মারা যান। হাবায়ারিমানা ছিলেন একজন – হুতু।

এই ঘটনার জন্য হুতু নেতারা টুটসি বিদ্রোহী দল, দ্য রোয়ান্ডান প্যাট্রিওটিক ফ্রন্টকে (আরপিএফ) দায়ী করেন। আরপিএফ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর কিছুদিন পর থেকেই সুসংগঠিতভাবে টুটসিদের হত্যা করা শুরু হয়। টুটসিদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। রেডিওর মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়ানো হয়। রোয়ান্ডার গণহত্যা থামানোর জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি আন্তর্জাতিক মহল। সেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী অবস্থান করছিল। কিন্তু তাদের কাছে লড়াইয়ের ছিল না।