দল তোকে আজ মূল্যায়ন নাই করেন তো কি হয়েছে! জনগণ তোকে ঠিকই মূল্যায়ন করে সম্মানের আসনে বসিয়েছে। যতদিন বেঁচে থাকবি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই সামনে এগিয়ে যাবি। জনগণকে নিজের চাইতে বেশি ভালবাসবী।একদিন দেখবি দলই তোকে অনেক বড় নেতার আসনে বসিয়েছে। এই কথাগুলো বলতে বলতে ছেলেকে মুজিব কোট পরাচ্ছিলেন বাবা। আর বাবার পরিয়ে দেয়া সেই মুজিব কোট পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিয়েছেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ছেলে মশিউর রহমান মামুন।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে ছেলে মামুনকে মুজিব কোট পরিয়ে দেন বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান আতি।

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত রংপুর বিভাগের ৩২ উপজেলায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানদের শপথবাক্য পাঠ করান রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার জয়নুল বারী।

জানা গেছে, শপথগ্রহণ করা চেয়ারম্যানদের মধ্যে তুলনামূলক কম বয়সী চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিয়েছেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন।

তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। মশিউর রহমান মামুন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চুকে পরাজিত করে ২৮ হাজার ৯১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত লিয়াকত হোসেন বাচ্চু পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৬৫ ভোট।

বাবা ও ছেলের জনপ্রতিনিধি হওয়া নিয়ে এলাকাজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, বাবা ও ছেলের হাতেই হাতীবান্ধা পরিচালিত হবে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান মামুনের বয়স ৩০ বছর। ঢাকা কলেজ থেকে এমবিএ শেষ করা মামুন ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে তিনি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনের বাবা আতিয়ার রহমান আতি টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে মশিউর রহমান মামুন বলেন, ‘আমি উপজেলাবাসীর দোয়া ও ভালোবাসায় তুলনামূলক কম বয়সে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। সবার পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়েই হাতীবান্ধাকে নতুন করে সাজাতে চাই, হাতীবান্ধার উন্নয়ন ও সকল ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।’