ভিসির পদত্যাগের দাবীতে বরিশাল-পটুয়াখালী-ভোলা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। অবরোধ চলাকালে প্রবল বর্ষণ শুরু হলেও অবরোধ তুলে নেয়নি তারা। বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে ভিসি’র পদত্যাগ দাবীতে সড়ক অবরোধ করে শ্লোগান দিতে থাকে।

একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালুর ঘোষনা প্রত্যাখ্যান করে সোমনার (০৮ এপ্রিল) সকাল সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। এর ফলে সড়কের তিন প্রান্তে যাত্রী ও মালবাহী সহ বিভিন্ন পরিবহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। সৃষ্টি হয় সীমাহিন ভোগান্তির বাদ পড়েনি মোটর বাইক।

এর আগে ১০ টায় ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নীচতলায় প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ১৪ তম দিনে গড়ালো।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.এসএম ইমামুল হক স্বেচ্ছায় ছুটে যাবেন বলে সমঝোতা বৈঠকে আমাদের আশ্বস্থ করা হয়েছিলো। কিন্তু বৈঠকের আজ তিন দিন। ভিসি’র পদত্যাগ অথবা ছুটি যাবার কোন লিখিত কাগজ আমরা পাইনি।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগেই তাদের মৌখিক আশ্বাসের আস্থার বিষয়টি হারিয়ে ফেলেছেন। তাই আমরাও আমাদের আন্দোলনের সিদ্ধান্তে অনঢ় অবস্থানে রয়েছি। ভিসি’র পদত্যাগ বা ছুটির বিষয়ে লিখিত না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষনা দিয়েছেন তারা।

এর আগে শনিবার (০৬ এপ্রিল) প্রতিমন্ত্রী ও মেয়র সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সাথে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার ড. হাসিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে রোববার থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা সহ সকল কার্যক্রম চালুর ঘোষনা দেন।সে অনুযায়ী গতকালের ন্যায় আজও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকালে ক্যাম্পাসে এসে একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। কিন্তু প্রধান ফটকে তালা দেয়া থাকায় তারা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এজন্য তাদেরকে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেন ভিসি। এর প্রতিবাদ ও ভিসি’র পদত্যাগ দাবীতে সে দিন থেকেই লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।