পারফরম্যান্সে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা। স্বীকৃতিও তাই ধরা দিচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। টানা তৃতীয়বার উইজডেনের লিডিং ক্রিকেটার অব দা ইয়ার মনোনীত হয়েছেন বিরাট কোহলি। পাশাপাশি উইজডেনের বর্ষসেরা ৫ ক্রিকেটারের তালিকায়ও জায়গা পেয়েছেন ভারত অধিনায়ক।

ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমান্যাকের ১৫৬তম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে বুধবার। এ দিনই জানানো হয় বিজয়ীদের নাম। মেয়েদের ক্রিকেটে লিডিং ক্রিকেটার মনোনীত হয়েছেন কোহলির স্বদেশি স্মৃতি মান্দানা।

বর্ষসেরা ৫ ক্রিকেটারের স্বীকৃতি কোহলির সঙ্গে পেয়েছেন জস বাটলার, স্যাম কারান, ররি বার্নস ও ইংল্যান্ডের মেয়েদের দলের ব্যাটার ট্যামি বিউমন্ট।মূলত ইংলিশ গ্রীষ্মে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করাদের বিবেচনা করা হয় উইজডেনের স্বীকৃতিতে।গত বছর ভারতের ইংল্যান্ড সফরে অসাধারণ ছিল কোহলির পারফরম্যান্স। ৫ টেস্টের সিরিজ ইংলিশরা জিতেছি ৪-১ ব্যবধানে। তবে কোহলি করেছিলেন ৫৯৩ রান, সিরিজে সাড়ে তিনশ রানও করতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান।

তিন সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গতবছর ২ হাজার ৭৩৫ রান করেছেন কোহলি। ২ হাজার রানও করতে পারেননি আর কেউ। লিডিং ক্রিকেটারের বিবেচনায় তাই সেই অর্থে কোহলির প্রতিদ্বন্দ্বীই ছিল না তেমন কেউ।

টানা তো নয়ই, এর আগে সব মিলিয়েও তিনবার লিডিং ক্রিকেটার হতে পারেননি আর কোনো ক্রিকেটার। টানা দুইবার হয়েছিলেন বিরেন্দর শেবাগ, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে। ২০১১ ও ২০১৪ সালে সেরা হয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। শেবাগ ও কোহলি ছাড়া ভারতের হয়ে এই স্বীকৃতি পেয়েছেন আর কেবল শচিন টেন্ডুলকার, ২০১০ সালে।

ইংল্যান্ড সফরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর বর্ষসেরা ৫ ক্রিকেটারের তালিকায়ও কোহলির থাকাটা ছিল অনুমেয়। ইংল্যান্ডের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্সেই সেরা পাঁচে জায়গা পেয়েছেন বাটলার ও কারান। ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান স্কোরার ছিলেন বাটলার। কারান ছিলেন সেই সিরিজের ম্যান অব দা সিরিজ।কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও সফল ছিলেন বার্নস। রান করেছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৫৯। ইংল্যান্ডের মেয়েদের দলের হয়ে বছরজুড়ে ধারাবাহিক খেলে সেরা হয়েছে বিউমন্ট।

মেয়েদের ক্রিকেটে অসাধারণ বছর কাটিয়ে সেরা হয়েছে স্মৃতি। সীমিত ওভারের দুই সংস্করণ মিলিয়ে গত বছর ১ হাজার ২৯১ রান করেছেন ভারতের এই ওপেনার।টানা দ্বিতীয়বার লডিং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হয়েছেন রশিদ খান। গত বছর আন্তর্জাতিক ও বিভিন্ন ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে রেকর্ড ৯৬ উইকেট নিয়েছেন আফগান লেগ স্পিনার।