ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন দেওয়ার মামলায় আসামিদের আইনি সহায়তাদানকারী অ্যাডভোকেট কাজী বুলবুল আহাম্মদ সোহাগকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় কাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান।

খবরটি নিশ্চিত করেছেন ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিম উল্যাহ বিকম। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি জানান, সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ ও সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির খুনিদেও আইনী সহায়তা দেয়ায় তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ওই ইউনিয়নের আবদুর রউফকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্ত বুলবুলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে মারা যান নুসরাত। এর আগে শনিবার গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনি বার্ন ইউনিটে ভর্তি হন। সোমবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবি নিশাতকে ছাদের উপর কেই মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে সে ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সোমবার বিকালে বোরকা পরা ৪জন সহ অজ্ঞাতদের নামে মামলা দায়েরের পর ্ওইরাতে এজহার পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের মান উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

এর আগে ২৭ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।