কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে শনিবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র অষ্টমী স্নান ও মেলা। এ উপলক্ষে এক দিন আগেই ব্রহ্মপুত্রের তীরে পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে। সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাস, ট্রেন, ভ্যান ও হেঁটে মেলাস্থলের দিকে যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ।

চিলমারী হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান পরিষদের সভাপতি কর্ণধর বর্মা জানান, শনিবার সূর্য উদয়ের পর থেকে সকাল ৯টা ২১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড মধ্যকার সময় স্নানের উত্তম সময়।

তিনি জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও নেপাল থেকে পুণ্যার্থীরা অষ্টমী স্নান মেলায় আসবে। এবার দুই লাখেরও বেশি পুণ্যার্থীর সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্নান ও মেলা উপলক্ষে রমনা ঘাট থেকে রাজারভিটা এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার বালুচর এলাকা জুড়ে বসেছে সার্কাস, ভাওয়াইয়া গানের আসর ও সনাতন ধর্মীও নাম সংকীর্ত্তনের আসর। বাঁশির সুর, ঢোলের শব্দ ও নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে চরাঞ্চল।মেলায় স্থানীয়ভাবে তৈরি বাঁশের বাঁশি, মাটির হাঁড়ি, থালা, দেব-দেবীর মূর্তি, পুতুল, বাঘ, আম, নৌকা ইত্যাদির পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া রয়েছে ফলমূল, নানা জাতের চাল, পাখি, মুড়ি-মুড়কি, খই, দই, চিড়া ইত্যাদি।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী শাহ মো. শামসুজ্জোহা জানান, মেলা প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা রক্ষায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপির পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য নলকূপ স্থাপন ও নারী পুণ্যার্থীদের পোশাক পাল্টানোর সুবিধার্থে সরকারি, বেসরকারি ও এনজিওদের সহায়তায় শতাধিক তাঁবু থাকবে।প্রতিবছর নির্দিষ্ট দিনে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দেশের বিভিন্ন স্থানের হিন্দুধর্মের মানুষেরা পাপ মোচনের আশায় চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানের জন্য ছুটে আসে।