ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ ও রাফি হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিরাজ উদ্দৌলা একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী। বছরের পর বছর ধরে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি করেও পার পেয়ে যান তিনি। জামায়াত নেতা হলেও নিজের সুরক্ষা নিশ্চিতে ২০০১ সাল থেকেই ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তিনি গড়ে তুলেছিলেন সুসম্পর্ক। আর কৌশল হিসেবে ওইসব নেতাকে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতেন তিনি।
এদিকে প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়া পেয়ে বেপরোয়া সিরাজের চারিত্রিক স্খলনের মাত্রা পশুকেও ছাড়িয়ে যায়। নিজের অফিসের আয়া থেকে শুরু করে মেয়ের বয়সী ছাত্রীরাও তার যৌন লালসা থেকে রেহাই পাননি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কমিটি জানিয়েছে, লম্পট অধক্ষ সিরাজ উদ দৌলা বিভিন্ন সময়ে নুসরাতকে ২৭ বার তার কক্ষে ডেকে নিয়েছিলেন। ঘনিষ্ঠ বান্ধবী এবং স্বজনদের বিষয়টি জানিয়েছিল নুসরাত। মেয়ের মুখ থেকে ঘটনা শুনে প্রিন্সিপ্যালের কাছে কারণও জানতে চেয়েছিলেন তার মা।
নুসরাতের এক বান্ধবী জানায়, গত ২৭ মার্চ দুই বান্ধবীকে নিয়ে প্রিন্সিপ্যালের কক্ষে যায়। কিন্তু নুসরাতকে ভেতরে ডেকে নিলেও অন্য দু’জনকে কক্ষে ঢুকতে দেননি সিরাজ। কয়েক মিনিট পরে কাঁদতে কাঁদতে বাইরে বেরিয়ে আসে সে। কী হয়েছে জানতে চাইলে কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে নুসরাত।
আর যাতে কোনও মেয়েকে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে না হয় সেজন্য এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার চেয়েছে নুসরাতের বান্ধবীরা।তাদের বাবা-মায়েরাও এ ঘটনার দ্রুত বিচার চেয়েছেন। অপরদিকে লম্পট সিরাজের অপকর্ম নিয়ে মুখ খুলেছেন সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র এড.রফিকুল ইসলাম খোকনও।