অবশেষে রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে সরে যাচ্ছে পোশাক ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। হাতিরঝিলের ভবন থেকে মালপত্র সরিয়ে নিচ্ছে সংগঠনটি। সংগঠনের বর্তমান নেতারা বলছেন, আদালতের নির্দেশনা মেনেই পুরোনো ভবনটি ছেড়ে দিচ্ছেন তারা। আজ সোমবার নতুন ভবনে বিজিএমইএর দাপ্তরিক কাজ শুরু হবে।

জমির স্বত্ব না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করায় হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বিজিএমইএর বর্তমান ভবনটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভেঙে ফেলতে হবে। সে জন্য ভবনটি ছাড়তে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে সময় দিয়েছিলেন আদালত। ভবনের কার্যক্রম সরিয়ে নিতে উত্তরা তৃতীয় পর্বে ১১০ কাঠা জমির ওপর বিজিএমইএ নতুন ভবন নির্মাণ করছে। ইতিমধ্যে ১৩ তলা ভবনের ৬ তলার কাজ শেষ হয়েছে। ৩ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্মাণাধীন ভবনটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ভবনের মালপত্র উত্তরার নতুন ভবনে স্থানান্তরের কাজ চলছে। সোমবার থেকে আমরা সেখানে অফিস করবো। প্রয়োজন হলে এক-দুটি বিভাগ পরে যাবে।
উত্তরায় বিজিএমইএর নতুন ভবনে দুটি টাওয়ার হবে। সেখানে দুটি বেসমেন্ট ছাড়া ১৩ তলা থাকবে। ভবনে মোট জায়গার (স্পেস) পরিমাণ ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৩ বর্গফুট। তার মধ্যে ৩ লাখ বর্গফুট নিজেদের ব্যবহারের জন্য রাখছে বিজিএমইএ। বাকি জায়গা ২৩টি প্রতিষ্ঠান কিনেছে। ভবনটিতে প্রদর্শনী কেন্দ্র, আধুনিক মিলনায়তন, দুটি সেমিনার কক্ষসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকবে। ভবনের পুরো নির্মাণকাজ আগামী বছরের জুনে শেষ হবে।