সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে মঙ্গলবার দেশটির সামরিক জান্তা কারাগারে পাঠিয়েছে। বশিরের পরিবারের দুই সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে রাজধানী খার্তুমের কোবার কারাগারে নেওয়া হয়েছে।এদিকে ওমর আল বশিরকে সপরিবারে আশ্রয় দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডা। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ওকেলো অরিয়েম বলেছেন, ওমর আল বশির বা তার পরিবারের সদস্যরা যদি আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন, তবে উগান্ডার প্রেসিডেন্ট তাদের আবেদন বিবেচনা করবেন।

উগান্ডার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওমর আল বশির দক্ষিণ সুদান শান্তি চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি এ অঞ্চলে শান্তির জন্য অনেক কাজ করেছেন। তার প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার।সামরিক অভ্যুত্থানের পর সুদানের বিদ্যমান পরিস্থিতি উগান্ডা পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান ওকেলো অরিয়েম।

জ্বালানি ও রুটির দাম বৃদ্ধির এক সরকারি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সুদানে বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে ১৯৮৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে সরাতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিক্ষোভকারীরা। তবে সেনাবাহিনী দৃশ্যত প্রেসিডেন্টের পক্ষে থাকায় সম্প্রতি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেনা সদরের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল সকালে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন সামরিক কাউন্সিলের প্রধান আওয়াদ ইবনে আউফ। তবে তাকেও বশিরের ঘনিষ্ঠ আখ্যা দিয়ে রাজপথে অবস্থান ধরে রাখে বিক্ষোভকারীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনিও পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ইতোমধ্যে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অন্তবর্তীকালীন সামরিক পরিষদ। তারপরও সামরিক সদর দফতরের সামনে বেসামরিক সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে স্বাধীনতা ও বিপ্লব বলে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।