যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচার চালানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার নিজের কার্যালয়ে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সভায় তিনি বলেন, নির্দেশনাগুলি ব্যপকভাবে প্রচার করা দরকার। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান যেমন করবে, জাতীয়ভাবেও এটা করতে হবে যে, যেকোনো দুর্যোগ এলে করণীয়টা কী, প্রচার দরকার। মানুষকে সচেতন করা দরকার। মানুষকে জানানো দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে দুর্যোগ আসছে ঠিক, কিন্তু আমরা এটা সামাল দিচ্ছি। এতটুকু একটা দেশে ১৬ কোটি মানুষের বসবাস। পশ্চিমা দেশে যদি এরকম জনসংখ্যা হয়, তারা সামাল দিতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ আছে। শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিকায়ন মানুষকে আরাম দেয়, সুবিধা দেয়। আবার মাঝে মাঝে ঝুঁকিও সৃষ্টি করে।

সেই ঝুঁকিটা যেন কমে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে, গ্যাস সিলিন্ডার এমনকি কোনো দাহ্য পদার্থ ব্যবহারে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি অগ্নিকান্ডসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কি কি ব্যবস্থা নিতে হবে সেটাও দেখা দরকার। কারণ দুর্ঘটনারও প্রকৃতি বদলায়।

দুর্যোগ আসতে পারে বা দুর্যোগ আসলে কি করণীয় সে ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করা। শুধু দুর্ঘটনা ঘটলে সেটাকে সামাল দিতে হবে সেটা না, দুর্ঘটনাগুলি যাতে না ঘটে তার জন্য কি কি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেটাও আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে, পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।

দুর্যোগ মোকাবেলার বিষয়টি প্রতিনিয়ত পর্যালোচনা করা এবং করণীয় নির্ধারণ করারও পরামর্শ দেন তিনি।দুর্যোগ মোকাবেলায় সরঞ্জাম প্রতিনিয়তই বাড়ানো এবং জনবলের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগ যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষতির পরিমাণ কত কম হতে পারে সেটাই আমাদের দেখতে হবে, ব্যবস্থা নিতে হবে।নিজের কর্মস্থল বা আবাসে দুর্যোগ নিরাপত্তার বিষয়ে মানুষকে সচেতন হওয়া ও প্রস্তুতি রাখারও আহ্বান জানান তিনি।