বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাংবিধানিক ও মানবিক অধিকারের বিবেচনায় স্বাভাবিকভাবেই জামিন হওয়ার কথা। কিন্তু মন্ত্রীরা কেন বলছেন- তিনি প্যারোলের আবেদন করলে মুক্তির বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে?

শনিবার (২০ এপ্রিল)জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু বলেন, খালেদা জিয়ার কারাবরণ রাজনৈতিক, এখানে আইনি কোনো বিষয় নেই। দেশ ও দেশের বাইরে এটি এখন পরিষ্কার।

বিএনপি নেতা বলেন, আমি খালেদা জিয়ার কথা বলছি না, কোনও জনপ্রিয় দলের চেয়ারপারসনের কথাও বলছি না। বলছি একজন নাগরিক হিসেবে সাংবিধানিক ও মানবিক অধিকারের কথা। সেই অধিকারের বিবেচনায় তার জামিন হওয়ার কথা। তিনি যেখানে সাধারণভাবে জামিন পাওয়ার যোগ্য, সেখানে প্যারোলের প্রশ্ন কেন আসছে, সেটা আমার বোধগম্য নয়।

দলটির সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে প্যারোলে পাঠানোর জন্য কোনো দাবি কি জানানো হয়েছে? তাহলে কেন সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন- তাকে প্যারোলে পাঠালে বিবেচনা করা যেতে পারে? যেটা জামিনযোগ্য বিষয় হয়ে গেছে এবং যে জামিন পাওয়ার কথা আরও অনেক আগেই।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো বিষয় নেই। আওয়ামী লীগ কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে সেটাই হলো বিষয়। তারা জনগণের অধিকার হরণ করেছে। কীভাবে তা ফিরিয়ে দেবে তাদের সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া ছাড়া তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো উপায় নেই।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী বিএনপির ছয় সাংসদের শপথ নেওয়া প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, যে নির্বাচনটি বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দল থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, যেখানে নির্বাচনই হয়নি, সেখানে বিএনপির নির্বাচিত ছয়জন কীভাবে সংসদে যাবে?

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলাম প্রমুখ।