এবার ভুল আসামি হয়ে তিন বছর ধরে কারাগারে জীবন কাটানো মো. আরমানের মুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছে তাঁর পরিবার। রোববার এ বিষয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচাপতি খায়রুল হকের আদালতে শুনানির জন্য গেলে আদালত আগামী মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।রিটে পল্লবী এলাকার বেনারসির কারিগর মো. আরমানকে নির্দোষ দাবি করে কারাগারে রাখায় তাঁর ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নির্দোষ আরমানের আটকাদেশ কেন অবৈধ হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

রোববার ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পল্লবীর ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।এর আগে গত ১৮ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে কারাগারে আরেক জাহালম শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অপরাধী না হয়েও পাটকল শ্রমিক জাহালমকে জালিয়াতির ৩৩ মামলার আসামি হয়ে তিন বছর কারাভোগ করতে হয়েছিল। অনেক ঘাটের জল পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে তিনি কারামুক্ত হন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা এখন মানুষের মুখে মুখে। এর রেশ না কাটতেই আরেক জাহালম কান্ড বেরিয়ে এসেছে অনুসন্ধানে।

জানা গেছে, পল্লবীর বেনারসির কারিগর মো. আরমান নির্দোষ হয়েও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে গত তিন বছর ধরে কারাভোগ করছেন।

রাজধানীর পল্লবী থানার একটি মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাদক কারবারি শাহাবুদ্দিন বিহারি এ মামলার প্রকৃত আসামি। কিন্তু তাঁর পরিচয়ে, তাঁর পরিবর্তে সাজাভোগ করছেন আরমান। শুধু পিতার নামে মিল থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে শাহাবুদ্দিন নামে আদালতে সোপর্দ করেছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। অন্যদিকে প্রকৃত আসামি শাহাবুদ্দিন কারাগারের বাইরে মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন।পুলিশের ভুলে অথবা গোপন কারসাজিতে মৃত ইয়াছিন ওরফে মহিউদ্দিনের ছেলে শাহাবুদ্দিনের পরিবর্তে দীর্ঘ তিন বছর ধরে কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মো. আরমান (৩৬)। শুধু পিতার নামে (মৃত ইয়াছিন) মিল থাকায় শাহাবুদ্দিনের বদলে পল্লবীর ১৩ হাটস, ব্লক-এ, সেকশন-১০ নন লোকাল রিলিফ ক্যাম্পের বাসিন্দা আরমানকে সাজা ভোগ করতে হচ্ছে।