রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজানে ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি, ছুরিসহ ২৫ প্রকার আলামত শনাক্ত করলেন মামলার সাক্ষি এয়ারফোর্সের সুপার ভাইজার মো. লতিফুল বারী। হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের পাশের একটি ভবনে তাদের অফিস।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন এয়ারফোর্সের সুপার ভাইজার মো. লতিফুল বারী ও বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত সাক্ষ্য রেকর্ড করে আগামি ৬ মে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন।

লতিফুল বারী বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে পাঁচজনকে কালো ব্যাগ কাঁধে নিয়ে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে দেখি। একটু পর আমরা গোলাগুলির শব্দ শুনি। এভাবে সারারাত গোলাগুলি চলে। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সেনা কমান্ডো বাহিনী আসে। তাদের ঘিরে ফেলে। তাদের অ্যাটাক করে।এ সময় তিনি হোলি আর্টিজানে ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি, ছুরিসহ ২৫ প্রকার আলামত শনাক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে (স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ) হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।এর আগে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ নিহত হন। পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় হামলাকারী নিহত হয়।

২০১৬ সালের ৪ জুলাই নিহত ৫ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।মামলায় করাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন, রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ ও মামুনুর রশীদ। এছাড়া আসামি শরিফুল ইসলাম পলাতক আছেন।