ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে নদী ও সাগরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পটুয়াখালীতে বেশ কিছু পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে পরে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। তিনটি উপজেলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৫ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গ্রামগুলোয় পানি ঢুকে প্লাবিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে বাড়িঘর ফসলি জমি। এতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে রবি মৌসুমে মুগডাল।

মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৪নং দেউলী সুবিধখালী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জোয়ারের চাপে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে মেহেন্দিয়াবাদ, চরখালী, গোলখালী রানীপুরসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে মানুষের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে যায়। এসব এলাকার ফসলি জমিতে আবাদি মুগডাল তলিয়ে গেছে।

এদিকে, উচ্চ জোয়ারে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া পয়েন্টে দেড় কিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধ আংশিক থাকায় গ্রামের মধ্যে পানি ঢুকে অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া মহিপুরের নিজামপুর পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কলাপাড়া উপজেলায় পানিতে প্লাবিত গ্রামগুলো হচ্ছে- লালুয়ার চারিপাড়া, চৌধূরীপাড়া, মাঝের হাওলা, ছোট ৫ নং, বড় ৫নং, নয়াকাটা, সেনের হাওলা, মহিপুরের নিজামপুর কমরপুর, সুধিরপুর।

নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ উপচে ফুলতলা, মাটিভাঙ্গাঁ, ভাজনাসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে আছি। প্রায় আড়াইহাজার মানুষ বাস করেন ওই এলাকায়।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৪৭/১ নং পোল্ডারের আগে থেকেই বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ ছিল। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই পয়েন্ট থেকে গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। কলাপাড়ার নিজামপুর পয়েন্ট থেকে পানি গ্রামে ঢুকে পড়েছে। আমরা এলাকায় আছি। মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তার ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি।