ফেনীতে শনিবার ঘুর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে ৭৫টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রচন্ড বাতাসের গতিবেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঝড়ো হওয়ায় উড়িয়ে দেয় কাঁচা ও আধা পাকা বাড়ির ঘরের টিন ও আসবাবপত্র। এর মধ্যে সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়ন এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষত্রিগ্রস্থ হয় এবং চর দরবেশ ও সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এছাড়াও জেলার দাগনভূঞায় ১০টি ঘর, ৫টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে গেছে এবং ফুলগাজীতে ১২ ঘর ও ১২ একর ফসলি জমির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। জেলায় ঝড়ের কারণে বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম ও পরীক্ষা গ্রহণ ছিল বন্ধ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ধান গবেষণা সংলগ্ন এলাকায় রুচিয়া খাতুন, আবু সুফিয়ান, বেলাল হোসেন, মো. মোস্তফা, লাইলী আক্তার, বেবি আক্তার, রিয়াজুল হক, জান্নাতুর লাহের, আনিছুল হক, আলাউদ্দিন, নুরের নবী, আবুল কাশেম, রেজাউল হক বসতঘর ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এদিকে একই ইউনিয়নের জলদাস পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় মোদন মোহন দাস, হর মোহন দাস, যুধিষ্ঠির জলদাসের ঘর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়াও ও এলাকার আলম আলম নামের আরো একজনের দোকান ঘর উড়িয়ে নিয়ে যায় ঝড়ো হাওয়া। ফণির নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সমন্বয়ক ও ফেনী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি রাশেদুজ্জামান বলেন, ৭টি বসত ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, ৬৮টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ১৫’শ একর ফসলী জমির ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সোনাগাজীর চর চান্দিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছি।ক্ষতিগ্রস্থ বাকিদেরও সহযোগীতার চেষ্টা চলছে।