জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যার দায়ে চাচাদের কে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলো পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের বাদলপাড়া গ্রামের মিলন হোসেন (১৭)। মিলন হোসেন বাদলপাড়ার মৃতঃ হজরত আলীর ছেলে। মিলন হোসেনকে আট মাস পরে জীবিত উদ্ধার করলো পাবনা সদর থানা পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক জানান, মালিগাছা ইউনিয়নের বাদলপাড়া গ্রামের মৃতঃ হজরত আলীর পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে তার ভাইদের সাথে মৃত হজরত আলীর স্ত্রী মেরিনা খাতুনের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে দেবরদেরকে ফাঁসাতে মেরিনা খাতুন তার ছেলে মিলনকে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়েছে বলে দেবর সাইদুল, আসলাম ও ইসলামকে আসামী করে আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মেরিনা খাতুন অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল চার টার দিকে তার ছেলে মিলন হোসেন বাড়ি ফেরার পথে তার দেবর আসামী সাইদুল, আসলাম ও ইসলাম মিলনকে অপহরন করে হত্যার পরে লাশ গুম করে।

আদালত পাবনা সদর থানাকে অভিযোগটি মামলা হিসাবে গ্রহন করার আদেশ দেয়। পাবনা সদর থানা মামলা হিসাবে গ্রহন করে এসআই মহিউদ্দিনকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিলে বেড়িয়ে আসে আসলা ঘটনা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মহিউদ্দিন জানান, পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম (বিপিএম,পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, সদর সার্কেল ইবনে মিজান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হকের সার্বিক তত্বাবধানে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ মিলনের অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে পুলিশ ময়মনসিংহ জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে মৃত (আত্বগোপনে থাকা) মিলনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে।  মিলন পাবনার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক একেএম কামাল উদ্দিনের কাছে স্বীকারক্তি মূলক জবানবন্ধি দেন।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক জানান, গেল আট মাসে মিলন নিজেকে মৃত প্রমান করতে আত্বগোপন করে রেখেছিল। এই আট মাসে সে ময়মনসিংহ, যশোর,সিলেট,ঈশ্বরদীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করেছে।