এবার পাবনায় সহকর্মির রসিকতায় পায়ুপথে হাওয়া ঢুকিয়ে দেওয়ায় প্রাণ গেল দুলাল হোসেন (২৮) নামের এক শ্রমিকের। বরাত নামের আরেক শ্রমিকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১১ মে) দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুলাল।
এর দু’দিন আগে গত বৃহস্পতিবার (০৯ মে) দুপুরে পাবনা বিসিক শিল্প নগরীতে তাকে পায়ু পথে হাওয়া ঢোকানোর ঘটনা ঘটে। নিহত দুলাল পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের পূর্বটিয়ারতলা গ্রামের আবু বক্কারের ছেলে। অভিযুক্ত বরাত হোসেন একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরজান আলী জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে অন্যান্য দিনের মত দুলাল পাবনা বিসিক শিল্প নগরীতে শ্রমিকের কাজ করতে যায়। অতিরিক্ত গরমের কারণে দুলাল তার সহকর্মী বরাতকে ধুলা পরিস্কার করার মেশিন দিয়ে শরীরে বাতাস দিতে বলে। এ সময় রসিকতার ছলে বরাত হোসেন পাইপ দিয়ে দুলালের পায়ুপথে হাওয়া ঢুকিয়ে দিলে সে (দুলাল) অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর প্রথমে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে দুলালের মৃত্যু হয়।
এদিকে শনিবার বিকেলে দুলালের লাশ বাড়িতে নিয়ে গেলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশ দুলালের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার পর পালিয়ে যায় অভিযুক্ত বরাত হোসেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্থা (ওসি) ওবাইদুল হক শনিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন, পুলিশকে না জানিয়ে দুলাল নামের ওই শ্রমিকের লাশ বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা। যেহেতু সদর থানা এলাকার ঘটনা তাই ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। তবে পায়ুপথে হাওয়া ঢোকানোর কারণে তার (দুলাল) মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ময়নাতন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর।
চাটমোহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, পাবনা সদর থানা পুলিশের মাধ্যমে আমরা খবর পেয়ে অভিযুক্ত বরাত আলীকে ধরতে অভিযান শুরু করেছি। তবে ঘটনাটি যেহেতু সদর থানায় ঘটেছে, এ ব্যাপারে তারাই আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর এস্টেট অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কারখানা মালিকদের সাথে কথা বলে খোঁজ নিচ্ছি। কোন কারখানায় কাজ করতো দুলাল তারও কোনো তথ্য জানাতে পারেননি তিনি।