সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. নাজিফা আনজুম নিশাতকে ছোরা দেখিয়ে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন চৌধুরীকে। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে সারোয়ার গ্রেফতার হওয়ার আগেই সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তাইন বিল্লাহ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ কারণে আটকের ২৪ মিনিটের মাথায় তিনি ছাড়া পান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আইয়ুব আলী। তিনি জানান, আদালত শুনানি শেষে ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্র জানায়, মামলাটি জামিন যোগ্য ধারায় হওয়াতে আদালত দক্ষিণ সুরমা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেনকে জামিন প্রদান করেন।

সারোয়ার হোসেনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিঞা বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে আদালতের গেট থেকে তাকে ধরার পর সারোয়ার পুলিশকে জানায় সে জামিন নিয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাকে সোয়া ৩টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

এর এগ সোমবার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়। সোমবার (১৩ মে) রাতে মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফেরদৌস হাসান। এর আগে গত শনিবার (১১ মে) ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. নাজিফা আনজুম নিশাতের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং-৬১৭ ) করেছিলেন ডা. ফেরদৌস হাসান।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে বিকালে ১০-১৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পেটের পীড়ায় ভোগা একজনকে সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় রোগীর সঙ্গে একজন থেকে বাকিদের বাইরে যেতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন চিকিৎসক নাজিফা আনজুম নিশাতকে ছুরি দেখিয়ে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক। নিশাত নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি উল্লেখ করে পোস্ট দিলে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।