পুলিশসহ আইনশুঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টার্গেট করেছে জঙ্গিরা। এজন্য দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

বুধবার (১৫ মে)পুলিশ সদর দফতরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

পুলিশের আইজি বলেন, সারাবিশ্বে জঙ্গিরা এখন লোন উলফ পদ্ধতিতে হামলা চালাচ্ছে। অর্থাৎ দলবদ্ধ হামলার চেয়ে একাকী হামলার প্রবণতা বাড়ছে। এই প্রবণতা রোধ করা প্রায় অসম্ভব।জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জঙ্গিদের কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়। জঙ্গি বা সন্দেহভাজনদের নিয়ে মানুষ তথ্য দিলে একাকী হামলার প্রবণতাও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, বৌদ্ধ পূর্ণিমায় কোনও সুনির্দিষ্ট হামলার তথ্য নেই। তবে হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে বৌদ্ধপ্রধান এলাকাসহ সারাদেশেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা এবং পার্বত্য অঞ্চলে বৌদ্ধ পূর্ণিমার শোভাযাত্রা হবে। এই শোভাযাত্রা ঘিরেও বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গেও আমরা বৈঠক করেছি। তাদের নিরাপত্তা চাহিদাও পূরণ করা হচ্ছে।

দেশে বিদেশি জঙ্গি বা জঙ্গি সংগঠনের তৎরপতা নেই দাবি করে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট-আইএসের কোনও তৎপরতা বাংলাদেশে নেই। তবে কারও কারও সঙ্গে আদর্শিক যোগাযোগ থাকতে পারে।

আইএসের দাবি করা বাংলাদেশ শাখার খলিফা শায়খ আবু মুহাম্মদ আল-বাঙালির বিষয়ে আইজিপি বলেন, গণমাধ্যমে আল বাঙালির বিষয়টি এসেছে। তার হুমকির বিষয়টিও গণমাধ্যম থেকেই আমরা জানতে পেরেছি।অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি আবুল খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার।

ক্র্যাব সহসভাপতি মিজান মালিক, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ নিজামসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মো. শফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশনস) ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, ডিআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) ওয়াইএম বেলালুর রহমান, এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) সোহেল রানা, পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) কামরুজ্জামান ও জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম কামরুল আহসান উপস্থিত ছিলেন।