দীর্ঘ দুই মাস ১১ দিন পর দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট নম্বর বিজি ০৮৫ এ হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন তিনি। সন্ধ্যা ৬টার একটু আগে তাকে বহনকারী ফ্লাইট অবতরণ করে শাহজালাল বিমান বন্দরে। এ সময় ফ্লাইট থেকে হেঁটে নামেন তিনি। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা তাকে স্বাগত জানান। এর আগে, বুধবার সকালে সেতু অধিদফতরের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ কাদেরের দেশে ফেরার বিষয়টি গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন।

শেখ ওয়ালিদ জানান, বুধবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টায় দেশের মাটিতে পৌঁছবে ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী বিমানটি। তার সঙ্গে ফিরেন সহধর্মিনী ইসরাতুন্নেসা কাদের, এপিএস মহিদুল হক, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সুখেন চাকমা, ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার মনসুরুল আলমসহ ঘনিষ্ঠ কয়েকজন।

গত ২ মার্চ ভোররাতে ঢাকায় নিজ বাড়িতে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃৎপি-ের রক্তনালীতে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়ে। এরমধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের (রিং পরানো) মাধ্যমে দ্রুত অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। ৪ মার্চ বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

গত ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। সার্জারি করেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিনিয়র সদস্য কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি। ডা. ফিলিপ কোহে এই চিকিৎসা বোর্ডের নেতৃত্বে ছিলেন। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ওবায়দুল কাদের। তবে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া নেওয়া অ্যাপার্টমেন্টে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই নিয়মিত তার চিকিৎসক ডা. ফিলিপ কোহের চেম্বারে চেকআপের জন্য যাতায়াত করেছেন।