ঢাকা শিশু হাসপাতালের টয়লেটে পাঁচ থেকে সাতদিন বয়সী সেই নবজাতককে ফেলে গিয়েছিলেন দুই নারী। হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফুটেজে দেখা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হন্তদন্ত হয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ঢুকছেন দুই নারী। এক নারীর হাতে দেখা যায় কাপড়ের পুটুলি সদৃশ কিছু। তিনি শৌচাগারে ঢুকে দ্রুত বেড়িয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে, এই দুজনই ফেলে যায় শিশুটিকে।

এ বিষয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবু তায়েব বলেন, ‘দুজনকে আমরা দোষী বলে ধারণা করেছি। কারণ তারা খুব দ্রুত ভেতরে ঢুকে আবার বেরিয়ে আসে। হাতে যেটা দেখা যাচ্ছিল ছিল, সেটা বের হওয়ার সময় ছিল না।’

গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই নবজাতককে হাসপাতালের টয়লেটে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান এক রোগীর স্বজন। উদ্ধারের পর শিশুটিকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে শিশুটিকে দত্তক নিতে হাসপাতালে ভিড় করছেন আগ্রহীরা। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত। ঢাকা শিশু হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বলেছেন, শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ। পৃথিবীর আলো দেখার সঙ্গে সঙ্গে নির্মম বাস্তবতার সাক্ষী হতে হয়েছে তাকে। এরই মধ্যে ওকে সন্তান হিসেবে পেতে হাসপাতালে ভিড় করছেন অনেকে। তবে বিষয়টি আদালতের মাধ্যমেই নিষ্পত্তির কথা জানান তিনি। ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘এ বাচ্চা কাকে দিবে, তা আদালত ঠিক করে দেবেন। কেউ যদি বলেন, এটার তার বাচ্চা তাও কোর্টে গিয়ে প্রমাণ দিয়ে নিতে হবে।’  এদিকে বাচ্চাটি কে, কেন এভাবে ফেলে গেল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।