পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুক্রবার থেকে বাসের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। রাজধানীর গাবতলী, শ্যামলী ও আশপাশের এলাকার কাউন্টার থেকে এসব টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। ১৭, ১৮ ও ১৯ মে এই তিন দিন ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে টিকেট বিক্রি।

টিকেট বিক্রির প্রথম দিন ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালে ছিল টিকেটপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়। লক্ষ্য একটাই, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকেই কাঙ্ক্ষিত টিকেট হাতে নিয়ে খুশিমনে বাড়ি ফিরেছেন। আবার এত চাহিদার মধ্যেও টিকেট হাতে পাবেন কি না, এ নিয়েও রয়েছে সংশয়।

রাজধানীর গাবতলী ও এর আশপাশের এলাকা থেকে সকাল ৬টায় শুরু হয় ঈদের আগাম টিকেট বিক্রি। এর আগে গত ৯ মে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত বাস কোম্পানিগুলোর মালিকদের এক বৈঠকে আগাম টিকেট বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, রাজধানীর গাবতলী, মাজার রোড, কল্যাণপুর, শ্যামলী, কলেজগেট ও কলাবাগান এলাকায় বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রি হচ্ছে।’ যতক্ষণ টিকেট থাকবে, ততক্ষণ বিক্রি চলবে বলেও জানান রমেশ চন্দ্র ঘোষ। এ ছাড়া প্রতিটি গাড়ির দুটি টিকেট হাতে রেখে বাকি সব টিকেট বিক্রি করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আগামী ৩০ মে থেকে পুরোদমে ঈদযাত্রা শুরু হবে বলে মনে করছেন পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা।এদিকে অনেকেই নিজের চাহিদামতো টিকেট পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, টিকেট অনেক তাড়াতাড়ি শেষ হওয়ার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেক বেশি দামে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন অনেকে।

তবে টিকেট কাউন্টারগুলোতে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৩ জুনের টিকেটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এ জন্য আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যেই টিকেট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে।যাঁরা ৩ তারিখের টিকেট পাচ্ছেন না, তাঁরা পরের দিনের টিকেটের আশায় রয়েছেন। তবে যে দিনগুলোতে টিকেটের বেশি চাপ রয়েছে, সেসব দিনে অতিরিক্ত বাস নামানো যায় কি না, সেটি নিয়েও চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে চট্টগ্রাম থেকে উত্তর, পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের ৬৪টি রুটের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হয়। ৩০ মে থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত টিকেট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেখানেও যাত্রীদের অভিযোগ, টিকেটের দাম বেশি রাখা হচ্ছে।