পিরোজপুরের কাউখালী হাসপাতালে শুক্রবার সকালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক রোগী মারা গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা অস্বকীর করেছেন। এ ছাড়া গত পনের দিনে কাউখালীতে সরকারি হিসেবে দেড় শতাধিক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে শিশুই বেশি। প্রচন্ড গরম ও খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। এরমধ্যে হাসপাতালে তীব্র স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া-আক্রান্ত রোগী সুবিদপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী কুরছিয়া(৬০)ভর্তি হয়। শুক্রবার সকালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।রোগীর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মারাগেছেন কুরছিয়া বেগম।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.মো.ছিদ্দিকুর রহমান বলেন,কুরছিয়া বেগম ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হলেও সে নিউমোনিয়া রোগে মারা যান।হাসপাতালে কলেরা স্যালাইনের তীব্র সংকট রয়েছে। মে মাসের ১ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয় ১৪৫ জন। গত ৪৮ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ১৬ জন। এ ছাড়া গত মাসে বিভিন্ন ক্লিনিকে শতাধিক ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়।

স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো.ছিদ্দিকুর রহমান বলেন প্রচন্ড গরম ও খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।