গোলায় নতুন ধান উঠলে কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি থাকার কথা হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকামে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষকদের মুখ যেন মলিন। একদিকে উৎপাদন খরচ বেশি, অন্যদিকে বিক্রির বেলায় দাম কম। উৎপাদক কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। তাদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত বা সহজ করে দেয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা বা পদক্ষেপই যেন ফলপসূ হচ্ছে না।

সরকারের ক্রয়নীতি ঘোষণার পরও ধানের দাম না বাড়ায় ন্যায্যমূল্য না পেয়ে আশুগঞ্জ মোকামে ধান নিয়ে আসা কৃষকরা এখন দিশেহারা। দাম বাড়ার আসায় মোকামে ধান নিয়ে আসা কৃষকরা ধান বিক্রি করছেনা। তারা খোলা আকাশের নীচে ধান রেখে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। আবার অনেকে নৌকা থেকে ধান আনলোডই করছেনা। এতে করে আরো লোকসানের আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ইরি-বোরো মৌসুমে চাষাবাদ থেকে বিরত থাকার কথা বলছেন হতাশ কৃষকরা।
কৃষকদের অভিযোগ মধ্যস্বত্বভোগীদের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট অঘোষিতভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার ধানের দরপতন আরো বেড়েছে।

চলতি বছরে শ্রমিক সংকট, মজুরি বৃদ্ধিসহ কৃষি পণ্যের দাম বেশি থাকায় উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। প্রতি মণ ধান উৎপাদন করতে খরচ হয়েছে ৮শ থেকে সাড়ে ৮শ টাকা। কিন্তু বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৬শ থেকে সাড়ে ৬শ টাকা। এতে করে উৎপাদন খরচ উঠছে না। প্রতি মণ ধানে দেড় থেকে দুই শত টাকা লোকসান হচ্ছে।সরেজমিনে আশুগঞ্জ ধানের মোকাম ঘুরে জানা যায়, এখানে প্রতি মণ বি আর ২৮ ধান বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৬৩০ টাকা পর্যন্ত। বি আর ২৯ বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ টাকা। মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৫শ টাকা। এছাড়া প্রতি মণ ভেজা ধান ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।