মন্ত্রিসভার সদস্যদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মন্ত্রিসভার সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টন ও পুনর্বণ্টনের বিষয়টি সম্পূর্ণই প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব এখতিয়ার। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক সব দেশেই সময়ের তাগিদে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দায়িত্বে পরিবর্তন আসে। আমাদের দেশেও একই কারণে হয়েছে।’

আজ সোমবার দুপুরে সেতু ভবনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভা গঠনের পাঁচ মাসের মধ্যে মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে গতকাল রোববার। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ গঠন, পুনর্বিন্যাস, পরিমার্জন, পরিবর্ধনের এখতিয়ারটি সম্পূর্ণই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। কাজের সুবিধার্থে তিনি এটা করেছেন।’ মন্ত্রীদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টনের ফলে কাজে আরো গতি আসবে বলে জানান তিনি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ ভোট দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এমপি নির্বাচিত করেছে। সংসদে যোগ দিলে অনেক ভালো হতো। সংসদে যোগ দেওয়াটা তার উচিত ছিল।’