আগামী ৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এজন্য সোমবার (২০ মে) থেকে হজ ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি শুরু করেছে সংস্থাটি। এবার এক লাখ ২৮ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে সরকার।

জানা গেছে, ৩২ দিনে ১৫৭টি ডেডিলেটেড ও ৩২টি শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। হজ ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ৫ আগস্ট। ফিরতি হজ ফ্লাইট ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ সেপ্টেম্বর। এ বছর হজে যাবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে ৬৩ হাজার ৫৯৯ যাত্রী পরিবহন করবে বিমান।

বিমান জানিয়েছে, এ বছরই প্রথম ঢাকা থেকে মদিনায় ১১টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এছাড়া, চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দা ১০টি, সিলেট থেকে জেদ্দায় ৩টি, চট্টগ্রাম থেকে মদিনায় ৭টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বাকি ১২৬টি ফ্লাইট ঢাকা থেকে জেদ্দায় হজযাত্রীদের নিয়ে যাবে। এ বছর হজ ফ্লাইটে নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭ ৩০০ উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে বিমান। হজ ফ্লাইট চলাকালীন নিয়মিত শিডিউল ঠিক রাখতে দুটি উড়োজাহাজ স্বল্পমেয়াদে লিজ নেবে বিমান।

এ বছর হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকায় করা হবে। ফলে সৌদি আরবে গিয়ে ইমিগ্রেশনের জন্য তাদেরকে আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না। তবে এ কারণে ফ্লাইটের একদিন আগেই হজযাত্রীদের তথ্য সৌদি আরবে পাঠাতে হবে। সে সময়ের পর ফ্লাইটে নতুন করে যাত্রী নেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে নির্ধারিত শিডিউলের বাইরে অতিরিক্ত স্লট দেবে না সৌদি সরকার। বিগত হজ স্লটের জটিলতা, শিডিউল ঠিক না রাখার কারণে এক লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা দিয়েছিল বিমান। জটিলতা এড়াতে এ বছর কোনও যাত্রী হজ ফ্লাইটের যাত্রা বাতিল করলে, সময় পরিবর্তন করলে জরিমানা আদায় করবে বিমান।

এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, সুষ্ঠুভাবে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করতে বিমানের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হজ এজেন্সি ও হজযাত্রীরা যথাসময়ে ফ্লাইটের টিকিট সংগ্রহ করলে কোনও ধরনের জটিলতা হবে না।তিনি আরও বলেন, কোনও যাত্রী বিজনেস ক্লাসের আসনে বসতে চাইলে ওয়ানওয়েতে অতিরিক্ত ২০০ ডলার, রাউন্ড ট্রিপে ৩০০ ডলার খরচ করতে হবে। অন্যদিকে, কোনও যাত্রী তার যাত্রা বাতিল করলে ৩৫০ ডলার জরিমানা আদায় করা হবে। যাত্রার তারিখ পরিবর্তন করলে ২০০-৩০০ ডলার চার্জ কাটা হবে।