বিচারাধীন মামলার সংবাদ প্রকাশ বিষয়ে ফের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। আদালতের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এবং বিচারকাজ প্রভাবিত করে, এমন সংবাদ পরিবেশন ও প্রচার প্রত্যাশিত নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে নতুন এই বিজ্ঞপ্তিতে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. জাকির হোসেনের সই করা এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিচারাধীন মামলার সংবাদ প্রকাশ বিষয়ে এর আগে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি স্পষ্ট করতে নতুন বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সবসময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আদালতের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এবং বিচারকাজ প্রভাবিত হয়, এমন সংবাদ পরিবেশন ও প্রচার প্রত্যাশিত নয়। এ অবস্থায় গত ১৬ মে জারি করা ২৪৭/২০১৯ নম্বর বিজ্ঞপ্তিটি স্পষ্ট করা হলো এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হলো।

এর আগে,গত ১৬ মে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানীর সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কোনো কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়া তাদের চ্যানেলে এবং কোনো কোনো প্রিন্ট মিডিয়া তাদের পত্রিকায় বিচারাধীন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করছে, যা একেবারেই অনভিপ্রেত। এ অবস্থায়, বিচারাধীন কোনো বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের ওই বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ল রিপোর্টার্স ফোরাম,ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও এডিটরস গিল্ড পৃথক পৃথক বিবৃতি দিয়েছে। সংগঠনগুলো বলছে, এ বিজ্ঞপ্তি স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক একাধিক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেছেন, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন নতুন ব্যাখ্যা দিতে পারে। এর মধ্যে সোমবার (২০ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে তার চেম্বারে সাক্ষাৎ করেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার মনে হয় আপনারা খুব শিগগিরই এ বিষয়ে (বিচারাধীন মামলার সংবাদ পরিবেশন) একটি ব্যাখ্যা পাবেন। তার এই বক্তব্যের পরদিনই সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলো।