দুদকের সম্পদ বিবরণী দাখিল মামলায় পাবনা শহরের ইউনানী ঔষুধ কোম্পানী ইড্রাল ও শিমলা ডায়গনস্টিক এন্ড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী তাসলিমা হোসেনকে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। বুধবার দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কামাল হোসেনের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুদকের পিপি খোন্দকার জাহিদ রানা জানান, সম্পত্তি বিবরণী দাখিলের জন্য দুদক সমন্বিত পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে গত বছরের ৩০ আগস্ট সিমলার এমডি আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী তাসলিমা হোসেনের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠানো হয়। অজ্ঞাত কারণে তিনি নোটিশের জবাব দিতে ব্যর্থ হন। দুদকের পক্ষ থেকে সে সময়ে ৯৩৯/১৮ এবং ৯৪০/১৮ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী হাইকোর্ট থেকে চার্জশীট হওয়ার আগ পর্যন্ত জামিনের আবেদন করলে হাইকোটের বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জাহিদ রানা বলেন, বুধবার ছিল ওই মামলা দুটির চার্জশীট দাখিলের নির্ধারিত দিন। আদালতে তারা উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দেন।

এদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আহসান হাবিব বলেন, দুদকের নোটিশ প্রাপ্তির পর ১০ দিনের সময় নিয়েছিলেন সিমলার এমডি আবুল হোসেন। কিন্তু ৪ দিন পেরুতেই পাবনার একটি চাঞ্চল্যকর নারী সাংবাদিক নদী হত্যা মামলায় পুলিশ তাকে তার প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার করে। হাবিব বলেন, গ্রেপ্তারের কারণে যথা সময়ে তিনি সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে পারেনি। এডভোকেট আহসান হাবিব বলেন, দুদকের সে সময়ের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক ঈর্ষান্বিত হয়েই আবুল হোসেন ও তার স্ত্রীর নামে হয়রানী মূলক মামলা দিয়ে গেছেন। তিনি ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে তিনি নতুন করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেননি।