কামরাঙ্গীরচর থানাধীন এলাকার মনির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. আনোয়ার হোসেন(৩৮), মো. মতব্বর শরীফ (৩২), স্বর্ণা আক্তার কাকলী নীপা (২৭) ও মো. ইব্রাহিম খলিল (২৭)।

দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে স্বর্ণা আক্তার ও আনোয়ার হোসেন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৭ এপ্রিল আসামিদের যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিম (মনির হোসেন) কে ডেকে নিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে ও ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে খুন করে। পরবর্তী আসামি মনির হোসেন লাশ গুম করার জন্য মৃত্যুদেহটিকে সাত খন্ড করে বস্তায় ভরে মুন্সিহাটি চামক ফ্যাক্টরি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে খন্ডিত লাশ ফেলে রাখেন ও নয়াগাঁও জনৈক কাজী ফারুক সাহেবের বাড়ীর সংলগ্ন উত্তর দিকের জমিতে লাশ ফেলে রাখেন।

ওই ঘটনায় ভিকটিম বর্তমান স্ত্রী মোছা. হাসিনা বেগম কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তবে, মামলা দায়েরের সময় এজাহারে কোনো আসামির নাম উল্লেখ ছিলো না।২০১৪ সালের ১৪ মে মামলাটি তদন্ত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর একই বছরের ১৯ অক্টোবর আদালত অভিযোগ গঠন করেন। চার্জশিটভুক্ত ৩৯ জনের মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।মনির হত্যা মামলায় স্বর্ণা আক্তার কাকলী, শরীফ মাতব্বর ও আনোয়ার হোসেন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা। উপস্থিত আসামিদের পক্ষে গোলাম কিবরিয়া এবং পলাতকদের পক্ষে এমদাদুল হক লাল মামলাটি পরিচালনা করেন।